পদক্ষেপ: নির্দেশ অমান্য করে বামনঘাটা বাজারে দোকান খোলার চেষ্টা করা হলে পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। — ছবি: সামসুল হুদা
দিন কয়েক আগেও করোনা সংক্রমণের হার ছিল ২৫-৩০ জন। যতদিন যাচ্ছে, ভাঙড় ১ ও ২ ব্লক এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্লক প্রশাসন বিভিন্ন বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভাঙড় ২ ব্লক এলাকায় করোনা আক্রান্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫২ জন। অন্য দিকে, ভাঙড় ১ ব্লক এলাকায় করোনা আক্রান্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪৭ জন। এই অবস্থায় ব্লক প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বসে বিভিন্ন হাট-বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
ভাঙড় ১ ব্লক প্রশাসন ব্লক এলাকার বিভিন্ন হাট, বাজার সপ্তাহে দু’দিন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভাঙড় ২ ব্লক প্রশাসন সোমবার পোলেরহাট, সাতুলিয়া বাজার, মঙ্গলবার গাবতলা, নতুনহাট, চিনেপুকুর, শোনপুর বাজার, বৃহস্পতিবার পাকাপোল, ঢিবঢ়িবা, বিজয়গঞ্জ ও পাগলাপির বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বামনঘাটা, আঠারোতলা এলাকায় বেশ কিছু দোকান খোলার খবর পেয়ে পৌঁছে যায় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। দোকান বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় মাইকে প্রচার করে সকলকে সাবধান করে দেয়। ভাঙড় ১ ব্লকের ঘটকপুকুর এলাকাতেও কিছু দোকান খোলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। ভাঙড়ে প্রাণগঞ্জ বাজারেও কিছু দোকান খোলা রাখা হলে পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দেয়। এদিন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরোনোয় ২৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ভাঙড় ২ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, “ব্লক এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা এলাকার বিভিন্ন বাজার নির্দিষ্ট দিন ভাগ করে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাস্ক বিতরণ থেকে শুরু করে অন্যান্য পদক্ষেপ করা হয়েছে।”