পদ্ম দিয়ে দলে টানার চেষ্টা টুম্পা-মৌসুমীকে

বুধবার ছিল কামদুনি গণধর্ষণের চার বছর পূর্তি। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন কামদুনি গিয়ে নির্যাতিতার শহীদ বেদীতে মালা দেন। জেলার নেতাদের নির্দেশ দেন, বুথের প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ার কাজ শুরু করতে। এ দিন স্থানীয় প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্য ভাস্কর মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে খাওয়া সারেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য ও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

কামদুনি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ১৩:০০
Share:

উপহার: মৌসুমী ও টুম্পার হাতে পদ্ম তুলে দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

চার বছর পরেও এঁরাই কামদুনির প্রতিবাদের মুখ। আর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁদেরই সামনে রেখে কামদুনির মাটিতে বিরোধী রাজনীতির বীজ পুঁততে মরিয়া বিজেপি। টুম্পা কয়াল এবং মৌসুমী কয়ালের হাতে পদ্মফুল তুলে দিয়ে সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও টুম্পা ও মৌসুমী দু’জনেই আলাদা ভাবে জানিয়েছেন, এখনই কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে তাঁদের নেই।

Advertisement

বুধবার ছিল কামদুনি গণধর্ষণের চার বছর পূর্তি। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন কামদুনি গিয়ে নির্যাতিতার শহীদ বেদীতে মালা দেন। জেলার নেতাদের নির্দেশ দেন, বুথের প্রতিটি বাড়ির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ার কাজ শুরু করতে। এ দিন স্থানীয় প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্য ভাস্কর মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে খাওয়া সারেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য ও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

দিলীপবাবু বলেন, ‘‘টুম্পা ও মৌসুমী প্রতিবাদী আন্দোলনের মুখ। ওঁদের বাড়ি গিয়েছিলাম। দলে যোগ দেবেন কিনা সেটা তাঁদের বিষয়।’’ টুম্পা ও মৌসুমীর হাতে এ দিন পদ্ম তুলে দেওয়ার পরে সাংবাদিকেরা এর অর্থ জানতে চাইলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির উত্তর, ‘‘ইশারাই কাফি। বাকিটা বুঝে নিন।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত বিজেপি নেতৃত্ব টুম্পা ও মৌসুমীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল, তাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন। সে প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দু’জনেই জানান, কামদুনি কাণ্ডের ন্যায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনও দলে যোগ দেবেন না। মৌসুমী বলেন, ‘‘বিভিন্ন দলের নেতারা গ্রামে এলে তাঁদের স্বাগত জানাই। তা বলে কোনও দলে নেই আমরা।’’

গত বছর নগর দায়রা আদালত কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী তিন জনকে ফাঁসি এবং অন্য তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। অভিযুক্তেরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায়। প্রসঙ্গত সেই কারণেই কামদুনিবাসী মনে করছেন, ন্যায় বিচার এখনও মেলেনি।

পাশাপাশি এ দিন জেলা তৃণমূলের নির্দেশে জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি কৃষ্ণ গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শাসক দলের প্রতিনিধিরা কামদুনি গিয়ে নির্যাতিতার শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে মোমবাতি জ্বালায়। মিছিল করে। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘প্রতি বার ৭ই জুন কামদুনি যাই আমরা। প্রথম থেকে কামদুনির পাশে আছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই দোষীরা সাজা পেয়েছে। এখন মায়াকান্না কাঁদছে। তখন বিজেপি কোথায় ছিল?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement