অসচেতন: উৎসবের পরে এই অবস্থায় পড়ে পিকনিক স্পট। নিজস্ব চিত্র
পিকনিক শেষে গোটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে থার্মোকলের থালা, প্লাস্টিকের গ্লাস। ক্যনিংয়ের ডাবুতে গিয়ে দেখা গেল এই ছবি।
নতুন বছরের প্রথম দিন কয়েক হাজার পর্যটক চড়ুইভাতি করতে এসেছিলেন ক্যানিংয়ের এই পর্যটন কেন্দ্রে। মাতলা নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভের অরণ্য ও বড় বড় গাছগাছালিতে ভরা এই জায়গাটি বরাবরই চড়ুইভাতির জন্য পছন্দ পর্যটকদের। কিন্তু প্রতি বছরের মতো এবছরও এখানে চড়ুইভাতি করার পর যত্রতত্র প্লাস্টিকের গ্লাস, থার্মোকলের থালা ও অন্যান্য নোংরা আবর্জনা ফেলে গেলেন পর্যটকেরা।
গত কয়েক বছর ধরেই প্লাস্টিক, থার্মোকলের বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি তরফে প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। ৩১শে ডিসেম্বরের পর থেকে আর এই থার্মোকল বা প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না বলেও প্রশাসনের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনই চড়ুইভাতি করতে এসে হাজার হাজার পর্যটক প্লাস্টিকের গ্লাস ও থার্মোকলের থালা যত্রতত্র ছড়িয়ে নোংরা করলেন ডাবু পর্যটন কেন্দ্রকে। এত প্রচারেও যে মানুষ আদৌ সচেতন হননি, তা আর একবার প্রমাণ হল।
পিকনিক করতে আসা পর্যটকেরা অনেকে জানান, নিষেধাজ্ঞার কথা তাঁরা জানেন। কিন্তু ব্যবহারিক সুবিধার জন্য এমনটা করে ফেলেছেন।
ক্যানিংয়ের গোলকুঠি পাড়া থেকে ডাবুতে পিকনিক করতে আসা রুমা কর্মকার, সুশীল দাসরা বলেন, “আসলে আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই। সেই কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’’ কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থার্মোকল বা প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হচ্ছে কেন, সে ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইলেন না কেউ।
স্থানীয় নিকারিঘাটা পঞ্চায়েতের প্রধান তাপসী সাঁফুই বলেন, “আমরা প্লাস্টিক ও থার্মোকল বর্জন নিয়ে একাধিক সচেতনতা শিবির করেছি। কিন্তু সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়।’’ এক সপ্তাহের মধ্যেই ডাবুতে বিভিন্ন জায়গায় ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি প্লাস্টিক ও থার্মোকল ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধের আর্জি জানিয়ে লাগানো হবে ফ্লেক্স, ফেস্টুন। বছরের প্রথম দিন আবর্জনায় ভরে যাওয়া পর্যটন কেন্দ্রটিকে পঞ্চায়েতের তরফ দ্রুত পরিষ্কার করে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান।