—ফাইল চিত্র।
আমপানের প্রায় তিন মাস পরে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে রবিবার বাদুড়িয়া গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল সরকারি কর্মী-সহ পঞ্চায়েত সদস্যকে। নিবার স্বরূপনগরের গ্রামে একই ভাবে তদন্তকারীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আমপানের পরে এমন অনেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন, যাঁদের পাকা বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। দুর্যোগের কয়েক মাস পরে যখন বর্ষা শুরু হয়েছে, গরিব মানুষ ধারদেনা করে মাথা গোঁজার মতো করে ঘর মেরামত করেছেন, এখন তদন্তে এসে কী লাভ, সে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় আমপানে ক্ষতিগ্রস্তেরা ক্ষতিপূরণের আবেদনপত্র জমা করেছেন বিডিও অফিসে। এ দিন দুপুরে স্থানীয় পঞ্চায়েতের এক সদস্যের স্বামী-সহ একটি দল বাদুড়িয়ার জগন্নাথপুর পঞ্চায়েতের উত্তর দিয়াড়া গ্রামে যান। আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে তদন্তের সময়ে তাঁদের ক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় দলটিকে।
বিক্ষোভকারীদের কথায়, ‘‘আমপানের পরে প্রায় তিন মাস হতে চলল, এখন কারও বাড়ি ভাঙা থাকার কথা নয়। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকলেই ধারদেনা করে ঘর মেরামত করে খানিকটা বাসযোগ্য করে তুলেছেন। এ সময়ে তদন্ত করে সঠিক তথ্য জানা সম্ভব নয়।’’
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মর্জিনা বিবি বলেন, ‘‘প্রকৃত গরিব মানুষ, যাঁরা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ব্লকে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। তারই ভিত্তিতে এ দিন স্থানীয় সদস্যের স্বামী সহ কয়েকজন গ্রামে তদন্তে এসেছিলেন। আমপানের এত দিন পরে কী ভাবে ক্ষয়ক্ষতি দেখা সম্ভব?’’
সোনালি গাইন বলেন, ‘‘আগে যাঁরা ঘর ভাঙার ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই দোতলা বাড়ি। এখন তদন্তকারীদের নির্দেশ দিতে দেখা যাচ্ছে পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে। বিষয়টি নিয়ে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।’’ এ বিষয়ে প্রশাসনের কেউ কিছু বলতে চাননি।
অন্য দিকে, শনিবার বিকেলে স্বরূপনগরের বাঁকড়া গোকুলপুর পঞ্চায়েতের বড় বাঁকরা গ্রামে তদন্তে গিয়েছিলেন কয়েকজন সরকারি কর্মী। গ্রামের মানুষ তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ঘটনার এত দিন পরে এসে কার কী ক্ষতি হয়েছে, তা বোঝা সম্ভব নয়। তদন্তের নামে পক্ষপাতিত্ব এবং দুর্নীতি চাপা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।