Barasat

ইদের বাজারে ক্রেতার ভিড় শহরমুখী

ব্লকের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, এলাকার গরিব পরিবারের সদস্যেরাই মূলত তাঁদের ক্রেতা। কিন্তু সেলের আশায় অনেকেই বারাসতের বাজারে যাচ্ছেন কেনাকাটা করতে।

Advertisement

ঋষি চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ০৯:০২
Share:

ইদে কেনাকাটার ভিড়। বারাসত ১২নম্বর রেল গেট চত্বরে। ছবি: সুদীপ ঘোষ।

ইদে আগে জোরদার কেনাকাটা চলছে নানা জায়গায়। এ বছর চৈত্র মাসে ইদ পড়ায় বহু দোকানে ‘চৈত্র সেল’ দেওয়াও শুরু করেছে। উৎসব ও সেলের বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন বহু ক্রেতা। বিক্রি বাড়ায় খুশি বারাসতের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

তাঁরা জানান, এ বছর শীতের বাজার তেমন জমেনি। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন বারাসত ১, আমডাঙা ও দেগঙ্গা ব্লকের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। এ বছর চৈত্র মাসে ইদ হওয়ায় বারাসতের অধিকাংশ দোকানে দেওয়া হচ্ছে আকর্ষণীয় ছাড়। বসেছে একাধিক অস্থায়ী দোকানপাট। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রাম থেকেও বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন পোশাক, জুতো ও সাজগোজের দোকানে।

ব্লকের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, এলাকার গরিব পরিবারের সদস্যেরাই মূলত তাঁদের ক্রেতা। কিন্তু সেলের আশায় অনেকেই বারাসতের বাজারে যাচ্ছেন কেনাকাটা করতে। ফলে ইদ উপলক্ষে গত বারের তুলনায় কমেছে বিক্রি। চৈত্র মাসে বারাসতের স্থায়ী দোকান ছাড়াও স্টেশনের অদূরে ১২ নম্বর রেল গেটের দু’পাশে বহু অস্থায়ী দোকান বসে। কম দামে কেনাকাটা করতে সেখানেও ভিড় করেছেন অনেকে।

Advertisement

দেগঙ্গার স্থানীয় ব্যবসায়ী লিয়াকত আলি, শ্যাম বিশ্বাসেরা বলেন, ‘‘বারাসতের দোকানে পোশাকের সংখ্যা বেশি, ছাড়ও বেশি মেলে। তাই সচ্ছল ক্রেতাদের পাশাপাশি গরিব ক্রেতারা সেখানেই যাচ্ছেন। বাজার এলাকা বলে পোশাকের পাশাপাশি জুতো, সাজগোজের সামগ্রীও একবারে কিনে নিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু এতে আমাদের বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।’’

অন্য দিকে, বারাসত বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, দুপুরের পরে ভিড় বাড়ছে। বড় মল থেকে ফুটপাতের দোকান, সর্বত্রই চলছে বিকিকিনি। বারাসত বাজারের পোশাক বিক্রেতা সুখেন দাস, পরিমল বিশ্বাসেরা বলেন, ‘‘শীতের মরসুমের ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে গিয়েছে ইদ ও চৈত্র সেলের বাজারে। চৈত্র মাসে ইদ হওয়ায় গ্রামের বহু ক্রেতারাও আসছেন।’’

এ দিন বারাসতের বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন দেগঙ্গার বাসিন্দা সাবিনা বিবি, আমডাঙার বাসিন্দা শেখ শাকিল। তাঁরা বলেন, ‘‘এখানে যে ছাড় পাই, গ্রামে তা মেলে না। আমাদের আয় কম, এখান থেকে কেনাকাটা করলে কম দামে ভাল পোশাক পাই। তাই এখানে আসা।’’

গ্রামীণ ব্যবসায়ীদের দাবি, কম সংখ্যায় পোশাক কেনায় বড় ব্যবসায়ীদের মতো ছাড় দেওয়া সম্ভব হয় না। তা ছাড়া, অনেক ক্রেতাকে ধারবাকি দিতে হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement