এক বাটিতেই চলছে মুড়ি-ভোজ

সেখানে বসেই রাতদিন এক করে ভোটের নানা কাজ সামলাচ্ছেন কংগ্রেস-সিপিএম কর্মীরা। পোস্টার লেখা চলছে। দফায় দফায় চা আসছে। একই বাটিতে মাখা তেল-মুড়ি ভাগ করে খাচ্ছেন দু’দলের কর্মীরা।

Advertisement

নির্মল বসু ও সামসুল হুদা

বসিরহাট ও ক্যানিং শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ০২:৩৭
Share:

ভাগাভাগি করে ঘরভাড়া গুনতে হচ্ছে ৬০০ টাকা।

Advertisement

সেখানে বসেই রাতদিন এক করে ভোটের নানা কাজ সামলাচ্ছেন কংগ্রেস-সিপিএম কর্মীরা। পোস্টার লেখা চলছে। দফায় দফায় চা আসছে। একই বাটিতে মাখা তেল-মুড়ি ভাগ করে খাচ্ছেন দু’দলের কর্মীরা।

কংগ্রেস-সিপিএম জোটের আবহে এমনই সব অত্যাশ্চর্য ছবি তৈরি হচ্ছে জেলায় জেলায়।

Advertisement

বসিরহাটের কথাই ধরা যাক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টাউনহল এলাকায় ইছামতী-সংলগ্ন সিপিএমের বসিরহাট জোনাল কমিটির দফতরের সামনে এসে দাঁড়াল বসিরহাট দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী অমিত মজুমদারের গাড়ি। পথচলতি লোকজন দাঁড়িয়ে পড়লেন যে দৃশ্য দেখে। উড়ে এল সরস মন্তব্য, ‘‘খেলা জমে উঠেছে!’’ অমিতবাবু যে আসবেন, জানা ছিল সিপিএম নেতা-কর্মীদের। দরজায় এগিয়ে এসে প্রার্থীকে স্বাগত জানালেন কেউ কেউ। এই প্রথম তো ঢুকলেন সিপিএমের পার্টি অফিসে। কেমন বোধ করছেন বলুন তো? অমিতবাবুর জবাব, ‘‘আমার কাছে ঐতিহাসিক দিন। আমাদের দু’দলের উদ্দেশ্য তো এক।

ক্যানিঙের হেড়োভাঙায় দেখা গেল, কংগ্রেসের প্রার্থী অর্ণব রায়ের সমর্থনে চলছে দু’দলের যৌথ নির্বাচনী প্রস্তুতি। ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন কোথায় টাঙানো হবে, কোথায় কী ভাবে দেওয়াল লেখা হবে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। কিছু দিন আগে পর্যন্ত যা ভাবাই যেত না। দু’দলেরই অভিযোগ, তৃণমূলের অত্যাচারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস-সিপিএমের বহু দলীয় কার্যালয়। কোথাও দখল হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় ভাড়া বাড়ি নিয়ে যে অফিসগুলি চলছিল, মালিক পক্ষ নতুন করে আর বিরোধী দলগুলিকে ঘরভাড়া দিতে চায়নি।

এক কংগ্রেস কর্মীর কথায়, ‘‘এক সময়ে সিপিএমের হাতে নানা ভাবে অত্যাচারিত হয়েছি। কিন্তু রাজ্যে পালা বদলের পরে ভেবেছিলাম একটু শান্তিতে থাকা যাবে। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে নানা ভাবে হয়রান করা হচ্ছে। কাজেই আমরা সব পুরনো বিবাদ ভুলে সিপিএম-কংগ্রেস কর্মীরা যৌথ ভাবে কাজ করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement