Corona

কেটেছে ৫ মাস, করোনায় মৃতের শংসাপত্র মিলল না

স্বামীর মৃত্যুর পরে তাঁর স্ত্রী সরস্বতী দাস বারবার সরকারি হাসপাতালে ছোটাছুটি করেও মৃত্যুর শংসাপত্র জোগাড় করতে পারেননি

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০১:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

মৃত্যুর পরে পাঁচ মাস কেটে গেল। এখনও স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র পেলেন না স্ত্রী।

Advertisement

সুন্দরবনের বাসন্তীতে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় জনার্দন দাসের। গত ১৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে ক্যানিং কোভিড় হাসপাতলে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পরে তাঁর স্ত্রী সরস্বতী দাস বারবার সরকারি হাসপাতালে ছোটাছুটি করেও মৃত্যুর শংসাপত্র জোগাড় করতে পারেননি। ব্যাঙ্কে স্বামীর জমানো টাকা তুলতে পারছেন না।

সরস্বতীর দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ায় তাঁকে সে ভাবে দেখার কেউ নেই। স্বামীর করোনায় মৃত্যু হওয়ায় প্রতিবেশীরা অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর বাড়ির বাইরে বের হতে পারতেন না। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী জনার্দন বাসন্তীর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সামান্য কিছু টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন। সেই টাকা তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হন সরস্বতী। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র চায়। তিনি দেখাতে পারেননি। ক্যানিং হাসপাতালে একাধিকবার ছোটাছুটি করেও মৃত্যুর শংসাপত্র তুলতে পারেননি।

Advertisement

সরস্বতী বলেন, “স্বামী হঠাৎ করে মারা যাওয়ায় ভীষণ সমস্যায় পড়েছি। মৃত্যুর শংসাপত্র না পাওয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে জমানো টাকা তুলতে পারছি না। একাধিকবার হাসপাতালে ছুটোছুটি করেও কোনও কাজ হয়নি। হাসপাতাল থেকে বারবার দিন দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। কী করব বুঝতে পারছি না।”

ক্যানিং হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি হাসপাতালের সুপার বদলি হয়েছেন। নতুন সুপার কাজে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়। তার জেরেই ওই মহিলা মৃত্যুর শংসাপত্র সময় মতো পাননি। ক্যানিং হাসপাতালের সুপার অপূর্বলাল সরকার বলেন, “আমি সম্প্রতি হাসপাতালে সুপারের পদে যোগ দিয়েছি। কী কারণে মৃতের পরিবার শংসাপত্র পাননি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমি কাজে যোগ দেওয়ার পরে করোনায় মৃত সকলের শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement