Coronavirus

সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে ট্রাক, সমস্যায় চালক-খালাসিরা

এ দিকে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে তাতে আদপে ১৪ এপ্রিল লকডাউন উঠবে কিনা তা নিয়েও ধন্দে চালক-খালাসিরা।

Advertisement

নির্মল বসু

বসিরহাট শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০৪:২০
Share:

ট্রাকের-সারি: বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে। নিজস্ব চিত্র

সীমান্তে আমদানি-রফতানি বন্ধ। ফলে সমস্যায় পড়েছেন উভয় দেশের কয়েক’শো ট্রাক চালক এবং খালাসিরা।

Advertisement

তাঁদের কথায়, ‘‘দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য নিয়ে এসে লরিগুলি দাঁড়িয়ে আছে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে। এদের যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। ২২ মার্চ থেকে এসেছে ট্রাকগুলি। কিন্তু যেতে পারছে না।’’

এ দিকে যে ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে তাতে আদপে ১৪ এপ্রিল লকডাউন উঠবে কিনা তা নিয়েও ধন্দে চালক-খালাসিরা। তাঁদের কথায়, ‘‘এ ভাবে যে আটকা পড়তে হবে তা জানতাম না। সঙ্গে থাকা টাকাও এখন শেষের দিকে।’’ এ দিকে এলাকায় হাতে দস্তানা ও মুখে মাস্ক পরে টহল দিচ্ছেন জওয়ানরা। পরিচয়পত্রের সঙ্গে মুখে মাস্ক পরা আছে কিনা তা-ও দেখছেন তাঁরা। এখন ঘোজাডাঙায় বিভিন্ন পার্কিংয়ে কয়েক’শো ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। গুজরাতের বাসিন্দা জ্যাঠারাম। ট্রাকের চালক। তাঁর কথায়, ‘‘জিরা নিয়ে গত ২২ মার্চ ঘোজাডাঙায় পৌঁছই। লাইন মেনে বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছিলাম। লকডাউন ঘোষণা হতে চলছে বুঝতে পেরে প্রশাসনের পক্ষে আগে ফল, মাছ, আনাজের ট্রাক বাংলাদেশে পাঠানো হয়। ফলে আমারা দাঁড়িয়ে পড়ি। সেই থেকেই দাঁড়ানো। কবে ট্রাক খালি কবর, বুঝতে পারছি না।’’ ওই ট্রাক চালক জানান, সঙ্গে থাকা টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির লোকও চিন্তা করছেন।

Advertisement

বাংলাদেশের ঢাকা থেকে এসেছিলেন ট্রাক চালক সোলেমান গাজি। তাঁর কথায়, ‘‘দেশে-বিদেশে করোনার ছোবলে মানুষ মরছে। এই অবস্থায় কোথাও নিরাপদ নয়। তবে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ঘরে থাকতে পারলে ভাল হত।’’

বসিরহাট ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক খোকন গাজি বলেন, ‘‘পণ্য ভর্তি ট্রাকগুলি যাতে দ্রুত খালি করা সম্ভব হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ ঘোজাডাঙা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়াডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কান্তি দে বলেন, ‘‘অনন্ত ১৪০০ ট্রাক লঙ্কা, হলুদ, পাথর এবং জিরা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ৩-৪ দিন বাণিজ্য বন্দর খোলা রাখলে সব মাল বাংলাদেশে খালি করে ট্রাক চালক ও খালাসিরা যে যার ঘরে ফিরতে পারবেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে।’’

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement