প্রতীকী ছবি।
গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কোভিড হাসপাতালে ৫০টি শয্যা থাকবে বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কয়েক মাস আগেই কোভিড হাসপাতালের দাবি উঠেছিল গোবরডাঙায়। জুলাই মাসে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মেন্টর গোপাল শেঠ গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। গোবরডাঙার পুরপ্রশাসক সুভাষ দত্ত বলেন, “কোভিড হাসপাতাল চালু হলে গোবরডাঙা-সহ আশপাশের করোনা আক্রান্ত রোগীরা সহজে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” গোবরডাঙা পুর উন্নয়ন পরিষদের সহ সভাপতি পবিত্র মুখোপাধ্যায় বলেন, “গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত। তবে এখন হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে যে চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে তা বজায় রাখতে হবে। করোনা পরিস্থিতি কাটলে হাসপাতালটি যেন বন্ধ হয়ে না যায়। সেটিকে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।” হাসপাতাল বাঁচাও কমিটির আহ্বায়ক তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান বাপি ভট্টাচার্য বলেন, “কোভিড হাসপাতাল তৈরি হলে ভাল। তবে অন্য রোগীদের চিকিৎসার বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরে হাসপাতালটিকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রূপান্তরিত করতে হবে।” বিজেপির গোরবডাঙা শহর পুর মণ্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুধু কোভিড হাসপাতাল তৈরি হলেই হবে না, এখানে লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা না হলে কোভিড হাসপাতাল কোনও কাজে আসবে না।”
২০১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ হয়ে যায়। বহির্বিভাগে একজন চিকিৎসক সপ্তাহে চারদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য রোগী দেখতেন। হাসপাতাল থেকে কার্যত কোনও পরিষেবা পাচ্ছিলেন না বাসিন্দারা। পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের দাবিতে দলমত নির্বিশেষে এলাকার মানুষ আন্দোলন শুরু করেন। যদিও সেই দাবি এখনও পূরণ হয়নি। জেলা পরিষদ পরিচালিত এই হাসপাতালে এখন দিনের বেলায় বহির্বিভাগ চালু আছে। কোভিড হাসপাতাল তৈরির সরকারি সিদ্ধান্তে শহরবাসীর অনেকেই আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, কোভিড হাসপাতাল তৈরি হলে গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে সেই পরিকাঠামো ধরে রেখে এখানে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল বা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চালুর সম্ভাবনা তৈরি হবে।