—ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতনতা ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে ওই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, অন্তত ১২০০ জন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আজ, শনিবার পর্যন্ত ওই প্রশিক্ষণ চলবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
এ দিন জেলার সমস্ত গ্রামীণ এবং ব্লক হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে করোনা নিয়ে বৈঠক করা হয়। তবে বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ অনুপস্থিত থাকায় ওই দু’টি হাসপাতালে বৈঠক হয়নি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, বালুরঘাট জেলা ও গঙ্গারামপুর মহকুমা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল দু’টির রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছে ১৬ মার্চ।
বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে বালুরঘাটে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল। বৈঠকটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোগ সচেতনতা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত থেকে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্কুল শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন জানায়, জেলাপরিষদের পক্ষ থেকে জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের করোনা নিয়ে সতর্ক ও সচেতনতার প্রচার কর্মসূচিতে নামতে বলা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের স্কুলে পড়ুয়াদের রোগ সম্পর্কে অবহিত করার সঙ্গেই সচেতনতার পাঠ দিতেও বলা হচ্ছে বলে খবর।
বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের ওই বৈঠক থেকেই বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুর হাসপাতালে দু’টি আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এ দিন বালুরঘাট হাসপাতালে নীচতলার একটি ঘরে দু’টি পুরুষ ও দু’টি মহিলা—মোট চার শয্যার ওই ওয়ার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। গঙ্গারামপুরেও উদ্যোগ চলছে। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পর্যাপ্ত এন ৯৫ মাস্কের সরবরাহ নেই বলেই খবর। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এই মুহূর্তে জেলায় প্রায় ২০০টি এন ৯৫ মাস্ক রয়েছে।