—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাঠ বিক্রি থেকে নতুন পুরপ্রধান পদে কে— এই সমস্ত জল্পনা ঘিরে ছিল বিতর্ক। তার শেষ হতে না হতেই, পানিহাটির রাজনীতিতে এখন খুনের হুমকির অভিযোগ ঘিরে দানা বেঁধেছে নতুন বিতর্ক। সোমবার পুরপ্রধান পদে সোমনাথ দে শপথ নেওয়ার আগে শাসকদলেরই তিন পুরপ্রতিনিধিকে একই বিদেশি নম্বর থেকে ফোন করে স্পষ্ট বাংলা ভাষায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যেখানে সরাসরি না হলেও অন্যকে করা ফোনে বিধায়ক ও তাঁর পুত্রকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এ দিন সমাজমাধ্যমের একটি পোস্ট (আনন্দবাজার পত্রিকা সত্যতা যাচাই করেনি) প্রকাশ্যে আসতেই খুনের হুমকি বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ হয়। ওই পোস্টে বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং তাঁর ছেলে তথা পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য তীর্থঙ্কর ঘোষের ছবি দেওয়া রয়েছে। শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের দাবি, বিধায়কের পরিবারের গাড়িচালক ওই পোস্ট করেছেন। এ সম্পর্কে তীর্থঙ্কর কিছু জানেন না বলে দাবি করলেও, নির্মল বলেন, ‘‘যে সমস্ত কথা বেরিয়েছে, তাতে আগ্রহী নই। ফেসবুকের পোস্টও সমর্থন করি না।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে একই বিদেশি নম্বর ব্যবহার করে পানিহাটির উপ পুরপ্রধান সুভাষ চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য (বিদ্যুৎ) তাপস দে এবং পুরপ্রতিনিধি তথা রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র সম্রাট চক্রবর্তীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ব্যারাকপুরের নগরপাল অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত অপরাধী ধরা পড়বে।’’
জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে প্রথম ফোন আসে সম্রাটের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতি থেকে আমাকে সরে থাকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। পাশাপাশি, বিধায়ক ও তীর্থঙ্করকে সোদপুর সেতুতে ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকিও আমাকে শোনানো হয়।’’ কিন্তু বিধায়ক-বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত সম্রাটকে ফোন করে নির্মল ও তীর্থঙ্করের নামে হুমকির নেপথ্যে কারণ কী, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। সম্রাটের দাবি, একটি ফেসবুক পেজের নাম করে কোন পোস্ট দেখতে হবে, সেটিও ফোনে জানানো হয়। আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ঘটনার বদলার সূত্রেই, অশ্রাব্য ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করা ও আগামীতে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে সম্রাট ও তাঁর পরিবারের প্রাণনাশের প্রচ্ছন্ন হুমকিও পোস্টে রয়েছে বলে অভিযোগ।
রবিবার তাপস ও সুভাষের কাছেও হুমকি ফোন আসে। তাপস বলেন, ‘‘সকালে একাধিক বার অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসায় ধরিনি। সন্ধ্যায় ধরতেই, মারার হুমকি দেয়।’’ এই মুহূর্তে অসমে রয়েছেন সুভাষ। তিনি বলেন, ‘‘স্বাভাবিক ভাবেই এমন ফোনে পরিজনেরা বিচলিত।’’