সরকারি প্রকল্পে বাধার অভিযোগ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সরকারি উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁরই দলের এক অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। ক্যানিং ১ ব্লকের গোপালপুরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে জলপ্রকল্পের একটি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই কাজ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলাই মোহান্তির নেতৃত্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৫ ০২:৩৪
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সরকারি উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁরই দলের এক অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। ক্যানিং ১ ব্লকের গোপালপুরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে জলপ্রকল্পের একটি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছিল। অভিযোগ, সেই কাজ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলাই মোহান্তির নেতৃত্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Advertisement

গত ২৮ মে বারুইপুরে উন্নয়ন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বিদ্যুৎ ও পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর নির্দেশ দেন যত দ্রুত সম্ভব জেলায় ৩৪টি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক নির্মাণ করার। এতে পানীয় জলের সমস্যা মিটবে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশনুযায়ী ক্যানিংয়ের গোলাবাড়ি এলাকায় শুরু হয় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের উদ্যোগে জলের ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ। এরপর জমি চিহ্নিত করে কাজ শুরু হয়। কয়েক দিন পর কোনও কারণ ছাড়াই অঞ্চল সভাপতি জল প্রকল্পের ট্যাঙ্ক তৈরির কাজে বাধা দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলাইবাবু বলেন, ‘‘একটি নির্দিষ্ট জমিতে কাজ হচ্ছিল। তার বদলে অন্যত্র কাজ করতে চেয়েছি। তাতে এলাকার লোক আমাকে বাধা দেয়।’’ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক তৈরির জন্য যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল সেই জমিতে কিছু সমস্যা ছিল। সে কারণে পাশের জমিতে কাজ শুরু হয়।

মঙ্গলবার কাজ বন্ধ থাকার খবর পেয়ে এলাকায় যান ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশ দাস। তিনি এলাকায় গিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। তাঁর কথায়, ‘‘উন্নয়নের কাজে কোনও রাজনীতির রং দেখা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনুযায়ী ওই এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমেই পানীয় জল পৌঁছনো হবে।’’ এ দিন বিকালের পর পঞ্চায়েত সমিতির নির্দেশে শুরু হয়েছে ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ। বিডিও বুদ্ধদেব দাস বলেন, ‘‘একটি সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তা মিটে গিয়ে ফের কাজ শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement