ভাঙচুর: ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র
গত কয়েক দিন ধরে নতুন করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল শুরু হয়েছে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েত এলাকায়। রবিবার রাত ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি শুরু হয় নেবুখালি ও নির্দেশখালি বাজার এলাকায়। শ’দুয়েক বোমা ফেটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর হয়েছে। আতঙ্কিত মানুষ। রাতেই বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুর নেতৃত্বে বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকা থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বোমা। ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ প্রথম নেবুখালি বাজার এলাকায় বোমা ফাটে। এরপরেই আশপাশের এলাকায় বোমা পড়তে শুরু করে। ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতে ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই তৃণমূলের যুব গোষ্ঠী ও মূল গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েত প্রধান যুব তৃণমূলের ইউসুফ মোল্লা বলেন, ‘‘ব্লক যুব তৃণমূল নেতা আমানুল্লা লস্করের সঙ্গে বৈঠকের জন্য গিয়েছিলাম। আগামী বুধবার দিদিকে বলো কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক ছিল যুব কর্মীদের। ফুলমালঞ্চ এলাকার যুব তৃণমূল নেতৃত্ব যখন সকলেই বাইরে, সেই সুযোগে এলাকায় বোমাবাজি করা হয়েছে।’’ তৃণমূল নেতা জাকির শেখ, সাদ্দাম শেখ, ইদ্রিস মোল্লা, রুহুল কুদ্দুস মোল্লা ও তাঁদের অনুগামীদের দিকে অভিযোগ তুলেছেন যুব তৃণমূল নেতৃত্ব।
অভিযোগ উড়িয়ে তাদের বিরুদ্ধেই এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। বাসন্তী ব্লকের তৃণমূল নেতা আব্দুল মান্নান ওরফে মন্টু গাজি বলেন, ‘‘অশান্তি ছড়িয়েছে যুব তৃণমূলের লোকেরা। আদতে ওরা সিপিএম, আরএসপির হার্মাদ। সেই সংস্কৃতি এখনও ভুলতে পারেনি।।’’
দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তৃণমূলের ঊর্ধ্বতন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা তা সম্ভব হয়নি। পুলিশি টহলদারি চলেছে গ্রামে।