Immersion

Arrest: বিসর্জন নিয়ে গোলমাল, মার পুলিশকে, গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার

অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার রূপক ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি গোবরডাঙা থানায় কর্মরত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোবরডাঙা  শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৫৭
Share:

প্রহৃত: ধনঞ্জয় ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে এক পুলিশ কর্মীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। শনিবার প্রহৃত পুলিশ কর্মী ধনঞ্জয় ঘোষ থানায় অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার রূপক ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি গোবরডাঙা থানায় কর্মরত। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। খোঁজ চলছে।

Advertisement

শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে গোবরডাঙা থানার বেড়গুম কৃষ্ণনগর এলাকার ঘোষপাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় যুবসঙ্ঘ ক্লাব দুর্গাপুজো করেছিল। শুক্রবার রাতে বিসর্জন দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো, মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বের করে ভ্যানে তোলা হয়। বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে বিসর্জন দিতে দেরি হচ্ছিল।

অভিযোগ, সে সময়ে রূপক-সহ কয়েকজন মদ্যপ অবস্থায় এসে দাবি করতে থাকেন, শুক্রবার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না। কারণ, তাঁরা না কি পুজোয় যথেষ্ট ‘আনন্দ’ করতে পারেননি। এ সব নিয়ে ধনঞ্জয়-সহ কয়েক জনের সঙ্গে বচসা শুরু হয়।

Advertisement

ধনঞ্জয় বসিরহাট সংশোধনাগারে কর্মরত। পুজোয় বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল, শুক্রবার প্রতিমা বিসর্জন হবে। রূপক-সহ কয়েক জন তার বিরোধিতা করে। আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। আমি বাড়ির নীচে এসে দাঁড়াই। রূপক কয়েক জনকে সঙ্গে এনে আমাকে মারধর করে।’’ চেলাকাঠ দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মছলন্দপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। গোলমালের জেরে শুক্রবার আর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া সম্ভব হয়নি। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সপ্তমীর দিন রূপকরা নাচগানের অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ থাকায় এবং করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ধনঞ্জয়-সহ আরও কিছু মানুষ আপত্তি করেছিলেন। তা নিয়ে ধনঞ্জয়ের উপরে রাগ ছিল রূপকদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement