কর্ম সংস্থান ৪
basanti

প্যানেলে নাম থেকেও মেলেনি সরকারি চাকরি

কালাম জানান, ২০১০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই বেশ কিছু নিয়োগ হয়েছিল প্রাথমিক স্কুলে।

Advertisement

প্রসেনজিৎ সাহা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:২৫
Share:

সংগ্রাম: অটো চালিয়েই সংসার চালাচ্ছেন আবুল কালাম। নিজস্ব চিত্র

শিক্ষকতার চাকরির জন্য প্যানেলে নাম ছিল তাঁর। কিন্তু শেষপর্যন্ত চাকরি হয়নি বাসন্তীর ভাঙনখালির বাসিন্দা আবুল কালাম সর্দারের। অভিযোগ, তালিকায় তাঁর পিছনে নাম থাকা অনেকেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বহু চেষ্টাতেও তাঁর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। চাকরির আশা ছেড়ে এখন তাই অটো চালাচ্ছেন আবুল কালাম।

Advertisement

কালাম জানান, ২০১০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই বেশ কিছু নিয়োগ হয়েছিল প্রাথমিক স্কুলে। সেই নিয়োগের প্যানেলে নাম ছিল তাঁর। ২০১০ সালের জন গণনায় কাজ করেছিলেন কালাম। পরীক্ষায় পাশ ও সরকারি কাজে সাহায্যের কারণে দ্রুত প্যানেলে নাম ওঠেতাঁর।

কিন্তু এর পরই ঘটে বিপত্তি। প্যানেলে তিন নম্বরে নাম থাকলেও চাকরি পাননি তিনি। কালাম বলেন, “ধীরে ধীরে প্যানেলে নাম পিছোতে থাকে। যাদের নাম প্যানেলে অনেক পিছনে ছিল বা যারা সেই সময় পরীক্ষায় পাশ পাশ পর্যন্ত করেননি তাঁদের অনেকেই চাকরি পেলেন। কিন্তু আমি পেলাম না।”

Advertisement

এরপর বেশ কয়েক বছর সেই চাকরির জন্য নানা জায়গায় হাঁটাহাঁটি করেন কালাম। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এমনকী চাকরির দাবিতে আদালতে মামলা পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার জন্য সেই মামলাও লড়তে পারেননি। এদিকে চাকরির বয়সও পেরিয়ে যায় কালামের। তাই শেষপর্যন্ত চাকরির আশা ছেড়ে ঋণ নিয়ে অটো কিনে ক্যানিং-বাসন্তী রুটে অটো চালাতে শুরু করেন তিনি।

কালামের দুই ছেলে মেয়ে। মেয়ে বর্তমানে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী, আর ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। দু’জনের পড়াশোনার খরচ জোগাতে হিমসিম খেতে হয় বলে জানালেন আবুল কালাম। সংসার সামলাতে স্ত্রী সালমা সর্দার গ্রামে গৃহশিক্ষকতা করেন।

কালামের কথায়, “জানি না কোন অজ্ঞাত কারণে আমার চাকরিটা হল না। অনেক জায়গায় ঘুরেছি, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এখন আশা ছেড়ে দিয়েছি।” স্ত্রী সালমা সর্দার বলেন, “চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু হয়নি। ছেলে-মেয়েদের তাই পড়াশোনার পাশাপাশি হাতের কাজ ও কারিগরি শিক্ষায় উৎসাহ দেন উনি।”

কেন চাকরি হল না কালামের? প্রশাসনের স্থানীয় স্তরে খোঁজ করে অবশ্য এর কোনও উত্তর মলেনি। এক আধিকারিকের কথায়, “কেন সেই সময় চাকরি হয়নি বলতে পারব না। এরকম কোনও ঘটনার কথা জানা নেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement