কাড়াকাড়ি: খেলার একটি মুহূর্ত। বসিরহাটে। ছবি: নির্মল বসু
ডেঙ্গি সম্পর্কে গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে রক্তদান শিবিরের পরে ফুটবল প্রতিযোগিতারও আয়োজন করল হাসনাবাদের রাজাপুর লোটাস ক্লাব। কলকাতা, বসিরহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালির ১৬টি দলের মধ্যে শনি-রবি দু’দিনের দিনরাতের ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়।
শনিবার দুপুরে আট বছরের নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতার সূচনা করেন ক্লাব সম্পাদক খাদিমুল ইসলাম মোল্লা, ক্রীড়া সম্পাদক আবুল হোসেন মোল্লা। স্থানীয় রাজাপুর হাইস্কুল মাঠে প্রথম খেলায় এ গ্রুপের নারায়ণপুর একাদশ ৪-১ গোলের ব্যবধানে আমরা ক’জন অসহায়-কে পরাজিত করে। বকচোরা সহজপাঠের কাছে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয় বারুইপুর স্পোর্টিং ক্লাব। বাবলু এন্টারপ্রাইজ ১-০ গোলের ব্যবধানে মৈত্রী সঙ্ঘকে হারায়। মালতিপুর বালক সঙ্ঘের ছেলেরা গড়িয়ার ছেপাতুল্লা এন্টারপ্রাইজকে পরাজিত করে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে। এ দিন বেশি রাতে ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় বাবলু এন্টারপ্রাইজ নিত্যবেড়িয়া এবং কাটাখালি বরুণহাট মামা ভাগ্নে একাদশ। বেশ কয়েকজন নাইজেরিয়ান ফুটবলারও মাঠে নেমেছিলেন। কলকাতার প্রথম বিভাগের খেলায় ক্লাবের ছেলেরাও যোগ দেন। কয়েক হাজার দর্শক মাঠ ভরান।
গত কয়েক বছর ধরে হাসনাবাদের বিভিন্ন মাঠে শীত পড়লেই ফুটবল প্রতিযোগিতার আসর বসছে। ওই সব প্রতিযোগিতায় কলকাতার ক্লাবের বহু ফুটবলার খেলেন। রাজাপুর লোটাস ক্লাবের পক্ষে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘হাজার হাজার ফুটবল প্রেমী খেলা দেখতে আসেন। তাঁদের সামনে যে কোনও বিষয়ে প্রচার করলে তা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই এ বার ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার প্রচার হয়েছে।’’
দু’দিনের ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল মিনাখাঁর দেবীতলা তরুণ সঙ্ঘ।