তৃণমূল নেতার ছেলেকে খুনের চেষ্টা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগদা
এক তৃণমূল নেতার ছেলেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাগদা থানার কাঠালে কুলোধরপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, জখম ব্যক্তির নাম দেবপ্রসাদ বিশ্বাস। বাড়ি ওই এলাকাতেই। তিনি তৃণমূল নেতা সুবোধকুমার বিশ্বাসের ছেলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবপ্রসাদবাবু চাষাবাদ করেন। রোজ রাতে খাওয়া সেরে বাড়ির সামনের রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ পায়চারি করার অভ্যাস তাঁর। বৃহস্পতিবারও রাত ১২টা নাগাদ রাস্তায় পায়চারি করছিলেন তিনি। সেই সময়ে তিনি দেখেন, একটু দূর থেকে হেঁটে আসছে চার জন। টর্চ মারলেও তাঁদের চিনতে পারেননি তিনি। অভিযোগ, দেবপ্রসাদবাবুর চোখে পাল্টা টর্চের আলো ফেলে তারা। চোখ ঝলসে যায়। ততক্ষণে তাঁকে ঘিরে ধরে বাঁ ঘাড়ে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। তিনি হাতের টর্চটি দিয়ে কোনও রকমে আত্মরক্ষা করেন। হাতে চোট লাগে। পাশেই তাঁর কাকার বাড়ি। দেবপ্রসাদবাবুর চিৎকার শুনে ওই বাড়ি থেকে লোকজন ছুটে আসে। পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। দেবপ্রসাদবাবুকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে শুয়ে তিনি বলেন, “আমার উপর কেন এই হামলা করা হল, বুঝতে পারছি না।” দেবপ্রসাদবাবুর জামাইবাবু অসীম রায় এলাকার তৃণমূলের আঞ্চলিক সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় প্রচুর মদের ভাঁটি রয়েছে। দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে এলাকায় মদ খেতে আসে। তারা কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে ওই কাজ করে থাকতে পারে।”
ছাত্রকে গুলি, গ্রেফতার ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ
দুষ্কৃতীদের গুলিতে দশম শ্রেণির ছাত্র অমিতেশ বিশ্বাসের জখম হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে বনগাঁর নরহরিপুর থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম মঙ্গল সরকার, সৌমিত্র খাঁ ও তাপস বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে বনগাঁর জামতলা এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হয় ওই ছাত্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হেরোইন খেতে প্রায়ই বিভিন্ন জায়গা থেকে দুষ্কৃতীরা এসে ওই এলাকায় ভিড় করে। নিজেদের মধ্যে বচসাও করে তারা। গুলি ছোড়াছুড়িও হয়। পুলিশ সব জানা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করে না বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ তা স্বীকার করেনি। অন্য দিকে, কৃষ্ণচন্দ্রপুরের যুবক অভিজিৎ মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নদিয়ার দত্তফুলিয়া থেকে প্রতিবেশী ভীম পাল ও তার স্ত্রী অনিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ভীমের ছাগল বাড়ি ঢুকে গাছ খেয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় ভীম বাঁশ দিয়ে তার মাথায় মারে। তার জেরে মারা যায় ওই যুবক। তবে ২৭ জুলাই বনগাঁর বক্সি পল্লি এলাকার বাসিন্দা বিন্দু বক্সির খুনের পরে বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তেরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যশোহর রোডের পাশের একটি চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন বিন্দু। সেখানেই খুন হন তিনি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই খুনের কিনারা অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়েছে। দ্রুত ধরা হবে।”
ট্রাক থেকে মিলল দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ
ফের ট্রাকের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল বনগাঁ পুলিশ। শুক্রবার সকালে শহরের কুড়িরমাঠ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অসিত ঘোষ (৫০)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কীটনাশকের শিশি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার দিন আগে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পেশায় ভ্যানচালক অসিতবাবু। কুড়িরমাঠ এলাকায় একটি গ্যারেজে ট্রাকটি দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে দেখে বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই প্রৌঢ়।
ধর্ষণে ধৃত প্রৌঢ়
বছর নয়ের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার ভোরে প্রতিবেশী বৃদ্ধকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাপস রায় নামে বছর চুয়াত্তরের ওই প্রৌঢ় রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধের মেয়ে শিশুটির গৃহশিক্ষিকা। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ বাড়ির নীচে নিজেদের দোকানে বসে টিভি দেখছিলেন তাপসবাবু। অভিযোগ, সে সময়ে মেয়েটি সেখানে আসলে তার উপরে নির্যাতন করেন তিনি। বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে।
পরিচয় মিলল পদপিষ্ট মহিলার
তারকেশ্বরে জল ঢালতে যাওয়ার পথে কামারকুণ্ডুতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত মহিলা বর্ধমানের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মধুমিতা গড়াই (৪৫)। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের ভাঙাকুঠি এলাকায়।