টুকরো খবর

বসিরহাট থানার পুলিশের উদ্যোগে ফুটবল প্রতিযোগিতায় জয়ী হল প্লেয়ার্স ক্যাটারার। সোমবার ফাইনালে তারা ৪-১ গোলে কচুয়া পঞ্চায়েতের ছেলেদের পরাজিত করে। জয়ী দলের পক্ষে সানু হাজরা একাই ৩টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি খেলায় ভাল খেলে এবং ফাইনালে দলের পক্ষে ১টি গোল করে প্রীতম সরকার ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের হয়েছেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৫ ০১:০১
Share:

ফাইনালে জয়ী প্লেয়ার্স ক্যাটারার

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

উত্তেজনার মুহূর্ত।—নিজস্ব চিত্র।

Advertisement

বসিরহাট থানার পুলিশের উদ্যোগে ফুটবল প্রতিযোগিতায় জয়ী হল প্লেয়ার্স ক্যাটারার। সোমবার ফাইনালে তারা ৪-১ গোলে কচুয়া পঞ্চায়েতের ছেলেদের পরাজিত করে। জয়ী দলের পক্ষে সানু হাজরা একাই ৩টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পান। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি খেলায় ভাল খেলে এবং ফাইনালে দলের পক্ষে ১টি গোল করে প্রীতম সরকার ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের হয়েছেন। ফাইনালে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন জয়ী দলের লাল্টু মণ্ডল। কচুয়া পঞ্চায়েতের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন আনারুল ইসলাম। ট্রফি তুলে দেন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস, নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত, বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিত্‌ বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট থানার আইসি গৌতম মিত্র প্রমুখ। গত রবিবার বসিরহাট জেলা হাসপাতাল মাঠে ১৬টি দলের মধ্যে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক এটিএম আব্দুল্লা রনি, পুরপ্রধান অতসী আন এবং ১৪৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের আধিকারিক গৌরব ত্যাগী-সহ বিশিষ্টজনেরা। পুর এলাকা-সহ বসিরহাট ১ ও ২ ব্লকের ছেলেরা প্রতিযোগিতায় যোগদান করে। বসিরহাট মহকুমার অন্যান্য থানা এলাকাতেও প্রতিযোগীতা হচ্ছে। খেলা পরিচালনায় ছিলেন সুকোমল বসু, সমীর ব্রহ্ম, নারায়ণ ঘটক এবং মোকাব্বেল গাজি। মধুছন্দা গোষ্ঠীর শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়েছিল। তারা আবার চিয়ার গালর্সের ভূমিকা পালন করে মাঠে।

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মারপিট, জখম

নিজস্ব সংবাদদাতা • বাসন্তী

দলীয় পার্টি অফিস তৈরি করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে জখম হল ৭ জন। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর ঝড়খালিতে। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঝড়খালি অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি বিধান বায়েনকে সরিয়ে দিয়ে সভাপতি করা হয় দীনেশ মণ্ডলকে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। ওই এলাকায় একটি জায়গা ঘিরে বিধানরা নিজেদের লোকজনদের নিয়ে বসার জায়গা করেছিল। এ দিন ওই জায়গায় দলীয় কার্যালয় তৈরি করা হবে বলে ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন টাঙাতে যায় দীনেশ মণ্ডলের লোকজন। সে সময়েই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শুরু হয় মারামারি। এই ঘটনায় ৭ জন জখম হন। আহতদের বাসন্তী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। গোসাবার তৃণমূলের বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটা ঝামেলা হয়েছিল ঠিকই। তবে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে দেওয়া হবে। ওই এলাকায় আমাদের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।”

তৃণমূলে যোগদান

দলীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে না পেরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন বেশ কিছু বিজেপি সমর্থক। সোমবার সকালে ক্যানিংয়ের ইটখোলা এলাকায় তৃণমূলের এক সভায় বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করেন। ইটখোলা অঞ্চলের বিজেপি-র সহ সভাপতি রাধিকা নস্কর, প্রভাঞ্জন নস্কর এবং নারায়ণ নস্করের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ জন কর্মী সমর্থক এ দিন তৃণমূলে যোগ দেয়। ইটখোলা অঞ্চলের তৃণমূলের প্রধান খতিব সরদার বলেন, “সারা রাজ্যে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিথ্যা অপপ্রচার, কুৎসার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে সামিল হতে আমাদের দলে আসছেন।” নারায়ণ, প্রভাঞ্জন এবং রাধিকারা বলেন, “ব্লকে বিজেপি-র নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য লোকের অভাব। কোনও সমস্যা হলে সমাধান করার মতো লোক নেই। তা ছাড়া, তৃণমূল এই এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ করছে।”

কর্মশালা

সম্প্রতি পুরোহিত, ইমাম এবং ম্যারেজ রেজিস্টার রেখে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করল জেলা চাইল্ড লাইনের হাসনাবাদ শাখা। ইছামতী নদীর ধারে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবু সুপিয়ান মণ্ডল, ওসি গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, চাইল্ড লাইনের আলাউদ্দিন গাজি, স্বপন মুখোপাধ্যায়, মাহাতাবুর রহমান, সিরাজুল হক, জাকির হোসেন, প্রণব সরকার প্রমুখ। উপস্থিত সকলেই বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সকলকে একজোট হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement