মহিলা নিখোঁজ, আটক দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • হিঙ্গলগঞ্জ
দু’দিন আগে বাপেরবাড়ি থেকে বেরিয়ে এক মহিলার নিখোঁজ হওয়াকে ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের পশ্চিম মামুদপুর গ্রামে। তাঁকে পাচার করা হয়েছে বলে ওই মহিলার বাপেরবাড়িতে আশ্রয় নেওয়া এক যুবতীর উপরে সন্দেহ গিয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের। শনিবার এক ব্যক্তি ওই যুবতীর খোঁজে এলে তাঁকেও গ্রামবাসীরা সন্দেহ করেন। তাঁকে মারধর করা হয়। শেষমেশ পুলিশ গিয়ে ওই যুবতী এবং ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, নিখোঁজ মহিলার সন্ধান চলছে। আটক দু’জন নিজেদের বালুরঘাটের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। মহিলার নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে ওই দু’জন কোনও ভাবে জড়িত কি না, সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ মহিলার শ্বশুরবাড়ি হাসনাবাদে। দিন কয়েক আগে ওই যুবতীর সঙ্গে তাঁর শিয়ালদহ স্টেশনে আলাপ হয়। ওই যুবতী ‘বিপদে পড়া’র কথা জানালে মহিলা তাঁকে বাপেরবাড়িতে নিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মহিলা বাপেরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শনিবার ওই ব্যক্তি গ্রামে পৌঁছয়। তিনি যুবতীর পরিচিত বলে দাবি করেন। কিন্তু যুবতী গ্রামবাসীদের কাছে দাবি করেন, ওই ব্যক্তি তাঁকে ভুল বুঝিয়ে কলকাতার একটি জায়গায় বিক্রি করে দিয়েছিল। ওই ব্যক্তিকে যুবতী নারী পাচার চক্রের পাণ্ডা বলেও দাবি করেন। তার পরেই শুরু হয়ে যায় মারধর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে ওই ব্যক্তি অবশ্য দাবি করেছেন, “পাড়ার মেয়ে বিপদে পড়েছে দেখে উদ্ধার করতে এসেছিলাম। তাতেই মার খেতে হল। মহিলা নিখোঁজের ঘটনায় আমি কোনও ভাবে যুক্ত নই।”
পার্টি অফিসে হামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্দিরবাজার
সিপিএমের একটি দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালাল এক দল দুষ্কৃতী। শুক্রবার গভীর রাতে মন্দিরবাজারের লক্ষ্মীকান্তপুর বাজার এলাকার ঘটনা। অরুণ হালদার নামে এক সিপিএম কর্মীর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলিয়ে কার্যালয়ের টিভি ভাঙচুর করে এবং কিছু কাগজপত্র ও দলীয় পতাকা তছনছ করে। সিপিএমের দাবি, ঘটনায় তৃণমূল জড়িত। তৃণমূল তা মানেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জয়ী কংগ্রেস
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জিতল কংগ্রেস। রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে। এই অবস্থায় বারাসত বার অ্যাসোসিয়েশনের ভোটে জয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উজ্জীবিত তারা। কংগ্রেস নেতৃত্ব শনিবার জানান, বারাসত বার সোসিয়েশনের সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, সভাপতি এবং সহ সভাপতি পদে তাঁদের প্রার্থীরা জিতেছেন। কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ৬। তৃণমূল ৪টি এবং বামেরা ৩টি আসন পেয়েছে।