টুকরো খবর

বিচারাধীন বন্দির রক্তবমি করে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। যদিও বিশ্বনাথ বিশ্বাস (৪৫) নামে ওই আসামি গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে বনগাঁ উপ-সংশোধনাগারে বন্দি ছিল। অসুস্থ অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হলে রবিবার দুপুরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, গত ৪ নভেম্বর এক আত্মীয়াকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাগদা থানার বৈকোলা গ্রামের খেতমজুর বিশ্বনাথকে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:১০
Share:

বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু, অভিযোগ অত্যাচারের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ

বিশ্বনাথ বিশ্বাস

Advertisement

বিচারাধীন বন্দির রক্তবমি করে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। যদিও বিশ্বনাথ বিশ্বাস (৪৫) নামে ওই আসামি গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে বনগাঁ উপ-সংশোধনাগারে বন্দি ছিল। অসুস্থ অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হলে রবিবার দুপুরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, গত ৪ নভেম্বর এক আত্মীয়াকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাগদা থানার বৈকোলা গ্রামের খেতমজুর বিশ্বনাথকে। উত্তর ২৪ পরগনার ওই উপ-সংশোধনাগার সূত্রের দাবি, শনিবার রাতে তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। চিকিৎসক আশিষকান্তি হীরা ওষুধ দিলে তখনকার মতো তা কমেও যায়। রবিবার সকালে ও দুপুরে স্বাভাবিক খাবারও খায় সে। কিন্তু দুপুর ২টো নাগাদ তার রক্তবমি শুরু হয়। চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে পাঠালে কিছুক্ষণ পরেই সে মারা যায়। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, “ভর্তির সময়েই রোগীর রক্তবমি হচ্ছিল।” আশিষবাবুর মতে, “পাকস্থলিতে রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে।” বিশ্বনাথের স্ত্রী ভারতী বলেন, “রবিবার রাত ১টার সময় পুলিশ এসে একটি কাগজে সই করিয়ে নিয়ে জানায়, আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। কিন্তু মৃত্যুর কারণ বলতে পারেনি।” তাঁর সংশয়, “কয়েক দিন আগেই জেলে গিয়ে দেখা করেছি। বাড়ির খাবারও খেয়েছিল। পেটের রোগের কোনও কথা তো বলেনি!” সোমবার মৃতের ভাই শ্রীমান্ত বিশ্বাস বনগাঁ মহকুমাশাসক তথা উপ-সংশোধনাগারের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর দাদাকে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে এবং জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি বলে তাঁদের বিশ্বাস। মহকুমাশাসক বলেন, “ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে।”

বনগাঁয় নাট্যমেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ

রবিবার শেষ হল তিন দিনের নাট্যমেলা। বনগাঁর গাঁড়াপোতায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ওই নাট্যমেলার আয়োজক ছিল নাট্যসংস্থা ‘গাঁড়াপোতা সপ্তক’। গাঁড়াপোতা গালর্স স্কুলের পুরনো মাঠের অস্থায়ী মঞ্চে আয়োজিত এ বারের নাট্যমেলায় আটটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। মঞ্চের নামকরণ করা হয়েছিল, সপ্তকের সদস্য তথা আবহশিল্পী প্রয়াত দেবেশ মুখোপাধ্যায়ের নামে। নাট্যমেলার উদ্বোধন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব অশোক মুখোপাধ্যায়। এ বারের নাট্যমেলা ১৬ বছরে পড়ল। নাট্যমেলায় মঞ্চস্থ হওয়া নাটকগুলি হল, নাট্যসংস্থা থিয়েটার ওয়ার্কশপের লোকনাট্য ‘বিয়ে গাউনি কাঁদনচাপা’, বসিরহাটের নাট্যসংস্থা ঊর্বী-র নাটক ‘চেনা আলো চেনা অন্ধকার’, শান্তিপুর সাংস্কৃতিক সংস্থার ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’, থিয়েটার চন্দনগরের ‘মৃত্যু উপত্যকা’, থিয়েটার প্রসেনিয়ামের ‘ঘর ছাড়ার ডাক’। এ ছাড়াও উদ্যোক্তা সংস্থার তরফে তিনটি নাটক, ‘কাল বা পরশু’, ‘শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা’ ও সপ্তকের ছোটরা মঞ্চস্থ করেছে ‘বাছাইপর্ব’। নাট্যমেলায় এ বার বনগাঁর মহকুমার ন’টি স্কুলকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল নাটক প্রতিযোগিতা। একটি স্মারকপত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। নাট্যমেলা কমিটির আহ্বায়ক অরুণ চক্রবর্তী বলেন, “এ বারের মেলায় আমরা কোনও না কোনও ভাবে নাট্যব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্র, উত্‌পল দত্ত, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহিত চট্টোপাধ্যায় এবং পালাকার ব্রজেন্দ্রকুমার দে-কে যুক্ত করতে পেরে আমরা গর্বিত।”

ক্যানিংয়ে ট্রেন অবরোধে ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং

কুয়াশার জন্য ট্রেন আসতে দেরি হওয়ায় সোমবার সকালে শিয়ালদহ-দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে যাত্রীরা দফায় দফায় রেল অবরোধ করেন। এতে সমস্যায় পড়েন যাত্রীদেরই একাংশ। সকাল ৮টা থেকে ক্যানিং, বেতবেড়িয়া, ঘুটিয়ারিশরিফ, চম্পাহাটি স্টেশনে অবরোধ হয়। পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “এ দিন প্রায় ২ ঘণ্টা বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধ হয়। ফলে তিনটি ট্রেন বাতিল হয়েছে। কুয়াশার জন্য কয়েকটি ট্রেন দেরিতে চলেছে।”

কোথায় কী

সন্ধ্যা ৬টা: মঙ্গলবার দলগত নৃত্যানুষ্ঠান। পরিবেশনায় সিঞ্জন নৃত্য শিক্ষাকেন্দ্র, ছান্দনিক, সেবাসমিতি, গীতাঞ্জলি, ঝুমুর কলা কেন্দ্র, ড্রিম ডান্স অ্যাকাডেমি, সৃজন।

রাত সাড়ে ৮টা: মঙ্গলবার বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু। স্থান, নৈহাটি রেলওয়ে ময়দানে নৈহাটি উত্‌সবে।

উত্তাপের খোঁজে। বনগাঁয় নির্মাল্য প্রামাণিকের তোলা ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement