corona virus

সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়লেন মানুষ

রাত পোহাতেই সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র দেখা গেল বহু জায়গায়। উত্তর থেকে দক্ষিণ, বহু বাজারেই শুক্রবার সকালে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। রাস্তা-ঘাট, বাস-গাড়িও ছিল ভিড়ে ঠাসা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৪:১৬
Share:

বনগাঁ ট বাজারে ভিড়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

দুই জেলা জুড়েই বৃহস্পতিবারের লকডাউনে ভাল সাড়া মিলেছিল। জরুরি পরিষেবা বাদে বাকি সব কিছুই ছিল বন্ধ। পুলিশি নজরদারি ও করোনা-আতঙ্ক, দুইয়ে মিলে রাস্তাঘাটে মানুষজন ছিল খুবই কম। তবে রাত পোহাতেই সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র দেখা গেল বহু জায়গায়। উত্তর থেকে দক্ষিণ, বহু বাজারেই শুক্রবার সকালে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। রাস্তা-ঘাট, বাস-গাড়িও ছিল ভিড়ে ঠাসা।
বনগাঁ শহরের রাস্তাগুলিতে এ দিন সকালে কার্যত জনজোয়ার নামে। বাজারগুলিতে গা গলানোর জায়গা ছিল না। বিশেষ করে মাছ, মুদির দোকানগুলি ভিড়ে ঠাসা ছিল। সকাল ১০টার মধ্যে বাজারের সব মাছ শেষ হয়ে যায়। শারীরিক দূরত্বের বালাই ছিল না প্রায় কোনও জায়গাতেই। মাস্ক থাকলেও, তা থুতনির নীচে বা গলায় ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায় অনেককেই। ভিড় দেখে কেউ কেউ বাজার না করে ফিরেও যান।
হাবড়া অশোকনগর-সহ মহকুমার অন্য বাজারগুলিতেও সকাল থেকেই ভিড় ছিল। লকডাউনে রাস্তাঘাটে পুলিশ অতি সক্রিয় থাকলেও, এ দিন ভিড় নিয়ন্ত্রণে তাদের তেমন ভূমিকা ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে।
একই ছবি দেখা গেল ডায়মন্ড হারবার স্টেশন বাজারে। সকাল থেকেই শারীরিক দূরত্ববিধি ভুলে ভিড় করেন মানুষ। বালাই ছিল না মাস্কের। মগরাহাট ও উস্তি এলাকাতেও বাজারগুলি ছিল ভিড়ে ঠাসা। কাকদ্বীপে বিভিন্ন বাজারে সকালের দিকে ভিড় থাকলেও, বেলা বাড়তে ভিড় কমে।
আগে দু’মাসের টানা লকডাউনে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ, ঘটকপুকুর, ভাঙড়, শোনপুর, পোলেরহাট সহ বিভিন্ন বাজারগুলিতে মানুষের আনাগোনা লেগেই ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের লকডাউনে সবগুলি বাজারই ছিল জনশূন্য। শুক্রবার অবশ্য ছবিটা পুরো পাল্টে যায়। বহু মানুষ বাজারে আসেন। চায়ের দোকানগুলিতে আগের মতোই ভিড় করে মানুষকে আড্ডা মারতে দেখা যায়। কোথাও তেমন পুলিশি নজরদারি চোখে পড়েনি। বাসন্তী হাইওয়ে-সহ গ্রামীণ এলাকাগুলিতে যানবাহনও ছিল চোখে পড়ার মতো।
ক্যানিং বাজার-সহ সংলগ্ন এলাকায় জেলা প্রশাসনের তরফে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি থেকে এলাকায় লকডাউন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে এ দিনও দোকানপাট খোলেনি। মানুষের আনাগোনাও চোখে পড়েনি। তবে বাজার বন্ধ থাকলেও এলাকার বেশ কিছু দোকানে ভিড় করে কেনাকাটা করতে দেখা গিয়েছে মানুষজনকে।
বৃহস্পতিবারের পরে শনিবার ফের লকডাউন হবে রাজ্যে। এ দিন বাজারে ভিড় করা মানুষজনের অনেকেই বলছেন, পরের দিনের লকডাউনের কথা ভেবেই প্রয়োজনীয় জিনিস মজুত করতে বেরিয়েছেন। কিন্তু শারীরিক দুরত্ব না মানা বা মাস্ক না পরা নিয়ে দিতে চাননি অনেকেই। এ দিনের ভিড় দেখে আগের দিনের সফল লকডাউন আদৌ কাজে দেবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বহু সচেতন মানুষ। এ দিকে, শনিবারের লকডাউন নিয়ে এ দিন অনেক জায়গাতেই মাইক প্রচার করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। পাশাপাশি ক্যানিং-সব বেশ কিছু জায়গায় মাস্ক না পরা নিয়েও কড়া মনোভাব দেখিয়েছে পুলিশ। অনেক ক্ষেত্রেই মাস্ক পড়তে বাধ্য করা হয়েছে। কান ধরে ওঠবস করানোও হয়েছে কিছু জায়গায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement