বিরিয়ানি বিতণ্ডা থেকেই গুলি

রবিবার রাতে দোকানের সামনেই সঞ্জয় মণ্ডলকে গুলি করে মারে চার দুষ্কৃতী। ওই রাতেই দলের পাণ্ডা মহম্মদ ফিরোজকে গ্রেফতার করে জগদ্দল থানার পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৮ ০১:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিরিয়ানির দাম চাওয়া নিয়ে বচসার জেরেই ভাটপাড়ার বিরিয়ানি দোকানের মালিককে গুলি করে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। রবিবার রাতে দোকানের সামনেই সঞ্জয় মণ্ডলকে গুলি করে মারে চার দুষ্কৃতী। ওই রাতেই দলের পাণ্ডা মহম্মদ ফিরোজকে গ্রেফতার করে জগদ্দল থানার পুলিশ।

Advertisement

কাঁকিনাড়ার এক নম্বর গলির বাসিন্দা সঞ্জয়ের ভাই শঙ্কর জানান, ঘটনার সূত্রপাত এক সপ্তাহ আগে। দোকানে এসে এক প্যাকেট মটন বিরিয়ানি দাবি করে ফিরোজ ও তার দলবল। অভিযোগ, বিরিয়ানির দাম ১৯০ টাকা চাওয়া হলে ওই দুষ্কৃতী তা দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। শঙ্কর বলেন, ‘‘দাম না দিলে বিরিয়ানি মিলবে না বলতেই ওরা হুমকি দিয়ে বলেছিল, পরে দেখে নেবে। সেই বদলা নিতেই রবিবার রাতে এসে ওরা দাদাকে মেরে দিল।’’ ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জোন ২) কে কারনান বলেন, ‘‘এক জনকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিন জনের খোঁজ চলছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ ফিরোজ-সহ চার দুষ্কৃতী দু’টি বাইকে চেপে দোকানের সামনে আসে। ঘোষপাড়া রোডে বাইক দু’টি রেখে তারা হেঁটে দোকানে ঢোকে। অভিযোগ, দোকানে ঢুকেই সঞ্জয়ের কাছে ফিরোজরা জানতে চায়, কেন এক সপ্তাহ আগে তাদের বিরিয়ানি দেওয়া হয়নি? তখন সঞ্জয় তাদের ফের জানিয়ে দেন, টাকা না দিলে আর বিরিয়ানি দেওয়া সম্ভব নয়। তাতেই খেপে গিয়ে ওই দোকান-মালিককে মারধর শুরু করে চার দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ফিরোজ তার কোমরে গোঁজা রিভলভার বার করতেই ভয়ে ছুটতে শুরু করেন সঞ্জয়। কিন্তু কয়েক পা এগোতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ওই দুষ্কৃতী। পেটে ও মাথায় গুলি লেগে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সঞ্জয়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই দোকান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই রয়েছে ভাটপাড়া তদন্ত কেন্দ্র। ঘটনার পরে সেই তদন্ত কেন্দ্রের পাশাপাশি জগদ্দল থানা থেকেও পুলিশ আসে। রাতেই কাঁকিনাড়া থেকে ফিরোজকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement