Attack in Dakshineswar

দক্ষিণেশ্বরে যুব তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, বেধড়ক মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

আড়িয়াদহের কাছে যুব তৃণমূল নেতা অরিত্র ঘোষের উপর হামলা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি চালানো হয়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে অরিত্রকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

দক্ষিণেশ্বর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৩ ১৭:৩৪
Share:

দক্ষিণেশ্বরে আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা অরিত্র ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

দক্ষিণেশ্বরে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে এর পর বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বরের আড়িয়াদহ এলাকায় যুব তৃণমূল নেতা অরিত্র ঘোষ আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বাইকে চেপে অফিসে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু গুলি অরিত্রের গায়ে লাগেনি। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর দুষ্কৃতীরা অরিত্রকে ঘিরে ফেলে। তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। লোহর রড দিয়ে অরিত্রকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। মারের চোটে তাঁর হাত-পা ভেঙে গিয়েছে।

গুরুতর জখম অবস্থায় বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অরিত্রকে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

Advertisement

এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের অন্য এক গোষ্ঠীর দিকে। ওই এলাকায় শাসকদলের অপর নেতা জয়ন্ত সিংহ। অভিযোগ, তাঁর দলবলই অরিত্রের উপর হামলা করেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে অরিত্রের সম্পর্ক ‘ভাল’ ছিল না। সেই কারণেই এই হামলা বলে দাবি অরিত্রের পরিচিতদের।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। তারা তদন্ত শুরু করেছে। কারা হামলা করেছে, কেনই বা হামলা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তবে পুলিশ এলাকায় গুলি চলার কথা স্বীকার করেনি। হামলায় অরিত্রের দু’টি হাত এবং দু’টি পা ভেঙে গিয়েছে বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। তাঁর শরীর থেকে অনেক রক্তও বেরিয়েছে।

হাসপাতাল থেকে অরিত্র বলেছেন, ‘‘আমি বাইকে করে অফিসে যাচ্ছিলাম। বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই জয়ন্ত সিংহ এবং তাঁর দলের লোকেরা আমাকে গুলি করে। গুলিটা পায়ের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায়। আমি বাইক থেকে পড়ে যাই। তার পর ওরা আমাকে রড, লাঠি দিয়ে আধ ঘণ্টা ধরে মারে। আমি চাই প্রশাসন এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’’ আহত তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিংহ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও কয়েক জনের নাম করলেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসছে। ভাঙড় থেকে ক্যানিং কিংবা কোচবিহার, দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠেছে। সেই আবহে বৃহস্পতিবারের ঘটনায় দক্ষিণেশ্বরে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement