Arjun Singh

জগদ্দল ও ভাটপাড়ায় দুশোটি নজর ক্যামেরা, কটাক্ষ অর্জুনের

ভাটপাড়া পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই ১৩০টি সিসি ক্যামেরা কাজ করছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন। পুরপ্রধান রেবা রাহা বলেন, ‘‘মোট ৩৩০টি ক্যামেরা চললে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই নিশ্চিত করা যাবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৪
Share:

অর্জুন সিংহ। —ফাইল চিত্র।

জগদ্দল ও ভাটপাড়া, এইদুই বিধানসভা কেন্দ্রের ছোট-বড় সব রাস্তার মুখে সিসিক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। এই দুই বিধানসভা এলাকা জুড়ে ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড। সব ক’টি ওয়ার্ডে নতুনকরে ২০০টি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। তার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘‘এর মধ্যে ১ কোটি টাকা পুরসভা অনুমোদন করেছে। আর ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের তহবিল থেকে পাওয়া যাচ্ছে। দ্রুত এই কাজের বরাত দেওয়া হবে।’’

Advertisement

ভাটপাড়া পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই ১৩০টি সিসি ক্যামেরা কাজ করছে বলে পুর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন। পুরপ্রধান রেবা রাহা বলেন, ‘‘মোট ৩৩০টি ক্যামেরা চললে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই নিশ্চিত করা যাবে।’’ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ, বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ বলেন, ‘‘১৩০টিক্যামেরা তো আমার সময়ে বসেছিল। এখন তার মধ্যে ক’টি চালু আছে? হলফ করে বলতে পারি, সেগুলির ৯০ শতাংশই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এ সব করে সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’

লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ভাটপাড়া ও জগদ্দলে ক্রমাগত ঘটে চলা অপরাধমূলক কাজকর্ম রুখতে এবং দুষ্কৃতীদের ধরতে জরুরি পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছিলেন দুই বিধানসভা এলাকার বাসিন্দারা। শাসকদলের তরফে গুন্ডা-মস্তানদের দিন শেষ বলে ভোটের সময়ে প্রচার করা হয়েছিল। অর্জুন সিংহ কিছু দিন আগেওদাবি করেছিলেন, ব্যারাকপুরে নানা ধরনের অপরাধ বাড়ছে। ভাটপাড়া, জগদ্দল এলাকায় গুলি-বোমা মিলছে। আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধী নেতা থেকে সাধারণ মানুষ। এক বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে সামনে থেকে গুলি করার ঘটনাও ঘটে। সিপিএম ও কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, এই দুই বিধানসভা এলাকায় দখলের রাজনীতির পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেড়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement