নিজস্ব চিত্র
যশোর রোডে যানজটের কারণে এমনিতেই নাস্তানাবুদ সাধারণ মানুষ। হাবড়া, দত্তপুকুর, বারাসত, মধ্যমগ্রামের মত জনবহুল এলাকা থেকে যশোর রোড ধরে কলকাতা যাওয়া এখন রীতিমতো আতঙ্কের। বরং গুমা, বেলিয়াঘাটা হয়ে শাসন, খড়িবাড়ির মধ্যে দিয়ে কলকাতা যাওয়ার রাস্তা ভাল হওয়াতে হাবড়া, বনগাঁর বাসিন্দাদের সুবিধা হয়েছে। হাবড়া থেকে এই রাস্তা ধরে কলকাতা পৌঁছতে মাত্র ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। পুরো রাস্তাতে গাড়ির চাপ যশোর রোডের তুলনায় অনেক কম। গোটা রাস্তাটাই মসৃণ এবং প্রায় যানজটহীন।
যদিও, বেলিয়াঘাটার আগে মোহনপুর স্পোর্টিং ক্লাব থেকে নুরনগর পঞ্চায়েত অফিস পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। রাস্তা চওড়া করার কাজ জমি জটের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। এছাড়াও বর্ষায় রাস্তার অবস্থা বেহাল। বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যার কারণে নিত্যদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলুপদ দাস বলেন, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে থেকে মোহনপুর পর্যন্ত এই ২ কিলোমিটার রাস্তা জমি জটের কারণে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এই ২ কিলোমিটার রাস্তা ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর দিয়ে রয়েছে।’ এলাকাবাসীর বক্তব্য, যাঁদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা গিয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলে তবেই রাস্তা সংস্কার করা যাবে। এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। এই বিষয়ে দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিক বলেন, ‘বর্ষায় মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে এ বিষয় নিয়ে পূর্ত এবং পরিবহণ দফতরের সঙ্গে খুব শীঘ্রই আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে।’