মার, পাল্টা মারের নালিশ ঠাকুরবাড়িতে

অভিযোগ, বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুরকে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা মারধর করেছে। তাঁকে নিগ্রহ করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫০
Share:

টহল: ঠাকুরবাড়িতে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে মারধর করে নিগ্রহের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল গাইঘাটায় মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ। বর্তমান বিজেপি সাংসদের অনুগামীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার সকালে এই খবর সংগ্রহে ঠাকুরবাড়িতে গেলে এক চিত্র সাংবাদিককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Advertisement

অভিযোগ, বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুরকে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা মারধর করেছে। তাঁকে নিগ্রহ করেছে। মারধর করা হয়েছে সুকৃতিরঞ্জন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে। শান্তনু অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুরের লোকজনই তাঁদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করেছে।

এ দিন সকালে ঠাকুরবাড়িতে মতুয়াদের নিয়ে পৃথক সভা ডেকেছিলেন শান্তনু এবং মমতা। মমতার সভায় ছিলেন সুকৃতি। তিনি সম্প্রতি এনআরসি নিয়ে বই লিখেছেন।

Advertisement

অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শান্তনুর লোকজন এসে সুকৃতিকে জানান, সাংসদ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। সুকৃতি ঘর থেকে বেরোতেই তাঁকে মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ। ব্যাগ, মোবাইল, কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

মমতা বলেন, ‘‘ওঁকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও শান্তনুর লোকজন চুলের মুঠি ধরে মারধর করেছে। শাড়ি ছিঁড়ে দিয়েছে।’’ শান্তনুর পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের সভা ভেস্তে দিতে মমতার লোকজন চড়াও হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সভামঞ্চে ছিলাম। সেখানেই আমাকে আক্রমণের চেষ্টা হয়। আমি ঘুরপথে বাড়িতে এসে দরজা বন্ধ করে দিই।’’ তাঁর অভিযোগ, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের মুখপাত্র অরবিন্দ বিশ্বাসকেও মারধর করা হয়েছে।

ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। সভায় আসা কিছু লোক গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে কিছু লোক হামলা চালায়। গাড়িতে ইট-পাটকেল মারে। সেই ছবি তুলতে গেলে এক চিত্র সাংবাদিককেও মারধর করা হয়েছে।

সুকৃতি বলেন, ‘‘আমার লেখা বই থেকে মানুষ বুঝতে পারছেন এনআরসি নিয়ে বিজেপির আসল রূপ। সে জন্যই আক্রোশ তৈরি হয়েছে আমার উপরে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘সুকৃতি এবং মমতা ঠাকুরকে যাঁরাই মারধর করুন, পুলিশকে বলেছি কড়া পদক্ষেপ করতে।’’ অসমে এনআরসি চালু হওয়ার পরে তৃণমূল বিষয়টি নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলে শান্তনুর দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement