দাপাদাপি যুবকদের। নিজস্ব চিত্র।
চাঁদার জুলুমে নাজেহাল হচ্ছেন সুন্দরবনে আসা পর্যটকেরা। অভিযোগ, নানা অনুষ্ঠানের নাম করে চলছে চাঁদা আদায়। চাঁদা দিতে না চাইলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি।
অন্য বছরের মতো এই বছরেও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ক্যানিং মহকুমার গোসাবা, ঝড়খালি, ডাবু-সহ বিভিন্ন পিকনিক স্পটে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। তাঁদের অভিযোগ, বড় গাড়ি প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা এবং ছোট গাড়ি প্রতি ১০০ টাকা করে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। না দিলে গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বাসন্তীর ঝড়খালির সমবায় মোড়ের কাছে পর্যটকদের গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। সেটি দেখভাল করছেন কয়েকজন স্থানীয় যুবক। অভিযোগ, সেখানে জোর করে চলছে বাড়তি টাকা আদায়।
ক্যানিঙের বাসিন্দা সুব্রত নস্করের ক্ষোভ, ‘‘পরিবার নিয়ে ঝড়খালিতে চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলাম। বাসন্তীর বিভিন্ন মোড়ে জোর করে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। যাতায়াত মিলিয়ে প্রায় ৮০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। প্রতিবাদ করলে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছে।’’ একই অভিযোগ করেছেন আরও অনেক পর্যটক।
জোর করে চাঁদা আদায়ের পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মদত থাকার অভিযোগও উঠেছে। যদিও ঝড়খালি পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান দিলীপ মণ্ডল চাঁদা আদায়ে দলীয় যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘স্থানীয় কিছু বেকার যুবক গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা এবং গাড়ি চালকদের বিশ্রামের ব্যবস্থার বিনিময়ে কিছু টাকা নিচ্ছেন বলে শুনেছি। তবে এর সঙ্গে পঞ্চায়েত এবং দলের কোনও যোগ নেই।’’ বাসন্তীর বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন, ‘‘কয়েকটি জায়গায় চাঁদা তোলার খবর পেয়ে পুলিশকে দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কেউ যদি পার্কিং করে টাকা নেয়, সেখানে আমরা সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারি না।’’ পুলিশের এক কর্তা জানান, জুলুমের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।