আদালতের নথিতে ‘কারচুপি’র ঘটনায় জড়িতদের কেউ ধরা না পড়ায় বসিরহাটের মহকুমাশাসকের দফতরের পাশে ফেস্টুন টাঙিয়ে বিক্ষোভে সোচ্চার হলেন আইনজীবী ও ল’ক্লার্করা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বড় রকম দুর্নীতি ধরা পড়তে চলেছে বুঝতে পেরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ-প্রশাসন। সে কারণেই মামলার গতি শ্লথ করা হচ্ছে। যাতে অভিযুক্ত সরকারি আইনজীবী জগন্নাথ নাথকে গ্রেফতার না করে তিনি আগাম জামিন পেতে পারেন। অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের দাবি, তদন্তের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আইনগত কিছু পদ্ধতির শেষে কয়েক দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তবে তদন্ত চলছে বলে এ বিষয়ে কোনও কথা বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক শেখর সেন।
গত ৬ জুলাই বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের এক্সিকিউটিভ কোটের আসল নথিপত্র আদালতের বাইরে আনার অভিযোগকে কেন্দ্র করে জগন্নাথবাবু ও তাঁর কিছু সঙ্গীর সঙ্গে বচসা, মারপিট বাধে বসিরহাট আদালতের কিছু আইনজীবীর। জখম হন ফৌজদারি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক। বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আইনজীবীরা বসিরহাটের মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে সরকারি আইনজীবী জগন্নাথ নাথের বিরুদ্ধে সরকারি নথি কারচুপি এবং সম্পাদককে আঘাত করার অভিযোগ করেন। পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক। দফতর গত ভাবেও ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। এই ঘটনার পরে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সরকারি আইনজীবী জগন্নাথ নাথ-সহ দু’জনের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। জগন্নাথবাবুর সেরেস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারি নথি দফতরের বাইরে বের করে তাতে নিজের ইচ্ছামতো বিচারকের নির্দেশ লিখে আর্থিক লেনদেনের একটা বড় চক্র বসিরহাটে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এরপরেও তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে না বলে অভিযোগ আইনজীবীজের একাংশের। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে রাজ্য জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। গোটা বিষয়ে আগাগোড়াই নিশ্চুপ জগন্নাথবাবু।