কয়েক মাস বন্ধ থাকার পরে নতুন করে শুরু হতে চলেছে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর প্রক্রিয়া।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেই শিক্ষা দফতর, পুরসভা, পঞ্চায়েত এবং শিক্ষাকেন্দ্রগুলিকে এক সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ অগস্ট এক থেকে ছয় বছরের শিশুদের নিজেদের এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কৃমির ওষুধ দেওয়া হবে। ১১-১২ অগস্ট প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের ওই ওষুধ দেওয়া হবে। তারপরেও যারা বাকি থাকবে তারা ১৩, ১৬, ১৮ অগস্ট নিজেদের স্কুল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধ পাবে। তার আগে আগামী ৭ এবং ৮ অগস্ট স্কুল স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর উপকারিতা বোঝাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন, ‘‘পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে মেটাতে প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হয়েছে। আশা করছি কোনও সমস্যা হবে না।’’
মাস কয়েক আগে কৃমির ওষুধ খাওয়ার পরে কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে কয়েকটি জেলায় গুজব ছড়িয়েছিল। তারপর অশান্তি-মারপিট-রাস্তা অবরোধ কোনও কিছুই বাকি ছিল না। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দেন, কৃমির ওষুধ খেয়ে অসুখ হয়েছে, এমন ধারণার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এই রকম গুজব যাতে কেউ না ছড়াতে পারে সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহকুমা এবং ব্লক স্তরে ‘র্যাপিড অ্যাকশন টিম’ তৈরি করা হয়েছে। এই কর্মসূচি চলা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি না নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। স্কুলে কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর সময়ে শিক্ষকদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন।
দুর্ঘটনায় মৃত। ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সব্জি ব্যবসায়ীর। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার পৃথিবা রোডে সুন্ডেপুকুর বাজারে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মফিজুল রহমান (৩৫)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে মোটর ভ্যানে করে মফিজুল বেড়াচাঁপা থেকে সুন্ডেপুকুরের দিকে আসছিলেন। তখনই একটি ট্রাক ওই মোটরভ্যানে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত হন মোটরভ্যানের তিন যাত্রী। আহতদের বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান মফিজুল।