—ফাইল চিত্র।
সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াস দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শুকনো খাবার, জল, চাল, ডাল-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা জিনিস তুলে দিচ্ছেন তাঁরা। তবে ত্রাণ বিলির নামে কিছু মানুষ জলযানে চেপে সুন্দরবন ঘুরতে আসছেন বলে অভিযোগ উঠছে। মাঝ নদীতে মোচ্ছব চলছে বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি ইয়াস বিধ্বস্ত গোসাবায় এরকম একাধিক ঘটনা নজরে এসেছে প্রশাসনের।
অভিযোগ, অনেকেই সামান্য কিছু শুকনো খাবার নিয়ে ত্রাণ সাহায্য দেওয়ার নাম করে দল বেধে চলে আসছেন সুন্দরবনে। গদখালি খেয়াঘাট থেকে লঞ্চ বা ভুটভুটি ভাড়া করে নদী পথে বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে কয়েকজনকে সেই ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন। এরপর সেই লঞ্চ বা ভুটভুটি নিয়ে নদীপথে বিভিন্ন জায়গায় চলছে ঘোরাঘুরি। সঙ্গে চলছে মদ্যপান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে। এরকম ঘটনা দিনের পর দিন বেড়ে চলায়, প্রশাসনের তরফে পদক্ষেপও করা হচ্ছে। গোসাবা থানার তরফে গদখালিতে ক্যাম্প করা হয়েছে। ত্রাণ দিতে গেলে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই যেতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গদখালিতে সেই ত্রাণ সামগ্রী পরীক্ষাও করছেন পুলিশকর্মীরা। বাসন্তী থানার পুলিশ কর্মীরাও গদখালি খেয়াঘাটে নজরদারি চালাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই পুরোনো জামাকাপড় ও বাইরে থেকে রান্না করা খাবার এনে দুর্গত মানুষকে দেওয়ার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশি নদীতে মদ্যপান আটকাতে নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। তবু পুলিশের নজর এড়িয়ে মোচ্ছব চলছে বলে অভিযোগ। যারা প্রকৃত ত্রাণ দিতে আসছেন, তাঁরাও মানতে পারছেন না এই পরিস্থিতি। গত কয়েকদিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে ত্রাণ বণ্টনের কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য আদিত্য জোতদার, সৌমিত্র মণ্ডলরা। তাঁরা বলেন, “সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ আজ অসহায়। তাঁদের পাশে দাঁড়ান। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর নামে এখানে ভ্রমণ, মদ্যপান বা আনন্দ করতে আসছেন। এটা এই সময় বন্ধ হওয়া দরকার।”
গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, “অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। প্রশাসন সহযোগিতা করবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এই মানুষগুলির পাশে দাঁড়ানোর নামে যারা এখানে অসভ্যতা করতে আসছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।”