আব্বাস সিদ্দিকি
হাওড়ায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে ত্বহা সিদ্দিকির পর এ বার মুখ খুললেন ফুরফুরা শরিফের আর এক পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। সদ্য নিলম্বিত (সাসপেন্ডেড) হওয়া বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে আব্বাসের বক্তব্য, ধর্ম নিয়ে মন্তব্যের পাল্টা হিংসার রাজনীতি হলে ক্ষমা করবেন না নবি। অনুগামীদের উদ্দেশে ভাইজান বলেন, ‘‘হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না।’’
নূপুরের ‘ঘৃণাভাষণ’-এর বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যত উত্তপ্ত পরিস্থিতি হাওড়ায়। ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটির কাছে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের পর শুক্রবার গোটা দিন ধরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ ছিল বহু এলাকায়। বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। শনিবার সকালেও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে গোলমালের খবর আসতে থাকে। এই পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের রাজিবপুরের কাছে এবং আমডাঙা কাছারি মোড়ে পর পর দু’টি সভা করেন ‘ভাইজান’ আব্বাস। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ধর্ম নিয়ে অনেকেই খারাপ মন্তব্য করেন। কিন্তু তার পাল্টা হিংসার রাজনীতি করলে নবি কখনওই ক্ষমা করবেন না।’’
অনুগামীদের উদ্দেশে হিংসা বন্ধের আবেদন করে আব্বাস বলেন, ‘‘নবির প্রেম অন্য ধর্মকেও ভালবাসতে শেখায়। নবিকে এমন ভাবে আক্রমণ আগেও হয়েছে। কিন্তু হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না।’’
প্রসঙ্গত, ফুরফুরার অন্য এক পীরজাদা ত্বহাও অনুগামীদের হিংসার ঘটনা থেকে বিরত থাকার বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নূপুর শর্মাদের করা বিবৃতির জন্য বহু মুসলমান পথে নেমেছেন। রাস্তাঘাট অবরোধ করছেন। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মানুষকে কষ্ট দিয়ে অবরোধ ইসলাম শেখায়নি। এটা শরিয়তের শিক্ষা নয়। আপনাদের জানা নেই ওই বিক্ষোভে আরএসএস ঢুকে ঢিল ছুড়বে। আর তাতে বদনাম হবে মুসলমানদের।’’ প্রশাসনের কাছে তাঁর আর্জি, ‘‘প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, কিছু চ্যাংড়া ছেলে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন জিনিস নেটমাধ্যমে ছাড়ছে। তাদের আপনারা গ্রেফতার করুন। নূপুর শর্মাকে অ্যারেস্ট করা হয়নি কেন? তাঁকে অ্যারেস্ট করা হয়নি বলেই সারা দেশে এই অবস্থা। এর পিছনে মোদী, অমিত শাহের সমর্থন আছে, সেটা মানুষ বুঝতে পারছে।’’