এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর। মঙ্গলবার সকালে ডায়মন্ড হারবার লোকালে চেপে ডায়মন্ড হারবারে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোনারপুর স্টেশন ছেড়ে সুভাষগ্রামে ট্রেন ঢোকার মুখে ওই তরুণী ঝাঁপ দেন। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম সঙ্গীতা পাল (৩৫)। তিনি পেশায় ছিলেন চিকিৎসক। তদন্তকারীদের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণী।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্গীতার বাড়ি আনন্দপুর থানার মাদুরদহ এলাকায়। তাঁর বাবা অলোক পাল পেশায় শিশুরোগ চিকিৎসক। ডায়মন্ড হারবারে একটি চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখেন তিনি। জেনারেল ফিজ়িশিয়ান সঙ্গীতাও বাবার সঙ্গে একই চেম্বারে রোগী দেখতেন। লোকাল ট্রেনেই সপ্তাহে ৩-৪ দিন ডায়মন্ড হারবারে যেতেন তাঁরা। এ দিনও বাবা-মেয়ে একসঙ্গে ট্রেনে ডায়মন্ড হারবারে যাচ্ছিলেন। ট্রেনের আসনে বসে পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে গল্প করছিলেন অলোক। সঙ্গীতা দাঁড়িয়েছিলেন দরজার ধারে। ট্রেন সোনারপুর ছেড়ে কিছুটা এগোতেই হঠাৎই ঝাঁপ দেন তিনি। সুভাষগ্রাম স্টেশনে ট্রেন থামার পরে অলোক-সহ কয়েক জন নেমে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে সঙ্গীতার। খবর পেয়ে রেল পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের পরে এ দিনই দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।
তরুণীর বাবার সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন তরুণী। তাঁর মানসিক সমস্যার চিকিৎসাও চলছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অবসাদের জেরে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সঙ্গীতা।