Barasat Court

আদালতে শুনানি চলল রাত ৩টে পর্যন্ত

আদালত সূত্রের খবর, পুলিশের দাবি মতো অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে এক অভিযুক্তকে নিয়ম মেনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করানো যায়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ০৯:৪১
Share:
রাত ৩টেয় রায় দেন বিচারক।

রাত ৩টেয় রায় দেন বিচারক। —প্রতীকী চিত্র।

একটি মামলার শুনানি ঘিরে সোমবার রাত ৩টে পর্যন্ত চলল বারাসত আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্ট। চেক বাউন্সের সেই মামলায় রাত ৩টেয় রায় দেন বিচারক। ওই আদালতে এমন ঘটনা প্রথম ও নজিরবিহীন বলেই দাবি করেছেন আইনজীবীরা।

আদালত সূত্রের খবর, পুলিশের দাবি মতো অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে এক
অভিযুক্তকে নিয়ম মেনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করানো যায়নি। চেক বাউন্সের সেই মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পাঁচ দিন পরে সোমবার বারাসত আদালতে হাজির করে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। এর পরে সোমবার রাত ৩টে পর্যন্ত শুনানি চলে বারাসত আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে। এমনটাই জানাচ্ছেন আইনজীবীরা।

এই মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১২ মার্চ জ্যোতিপ্রকাশ দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু তাঁকে ১৭ মার্চ বারাসত আদালতে পেশ করা
হয়। পুলিশ আদালতে জানায়, অভিযুক্ত অসুস্থ হওয়ায় প্রথমে তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে এবং পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও তেমন কোনও তথ্য পুলিশ আদালতে পেশ করেনি বলেই দাবি আইনজীবীদের। জ্যোতিপ্রকাশকে সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এগ্‌জ়িকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হয়। আদালত সূত্রের খবর, পরে সেখান থেকে মামলাটি স্থানান্তরিত করা হয় ‌‌‌‌‌‌‌‌‌অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে। রাত পৌনে ৯টার সময়ে এই মামলার শুনানি শুরু হয় এসিজেএম আদালতে।

এজলাসে বিচারকের পাশাপাশি আইনজীবী থেকে পেশকার— সকলেই হাজির ছিলেন। মামলার শুনানি চলে রাত ৩টে পর্যন্ত। শেষে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রকাশকে এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েছেন বিচারক।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু বলেন, ‘‘আমার জেলায় এমন ঘটনা প্রথম। আদালত সব সময়ে চায়, বিচারপ্রার্থী যেন ঠিকঠাক
বিচার পান।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন