গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়, ধৃত দুই নেতা

খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও দিকে দিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীতে-গোষ্ঠীতে হানাহানি লেগেই রয়েছে। শাসক দলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়ও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৬ ০৩:৪১
Share:

খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও দিকে দিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীতে-গোষ্ঠীতে হানাহানি লেগেই রয়েছে। শাসক দলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়ও। রবিবার রাতে ও সোমবার সকালে তৃণমূলের নিজেদের লড়াইয়ে তিন মহিলা-সহ ন’জন গুরুতর জখম হয়েছেন। দু’টি ঘটনায় তৃণমূলের দুই স্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সপ্তাহখানেক আগে বিরোধীদের উপরে আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সদ্য জিতে আসা ভাঙড়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। ‘নতুন ভাঙড়’ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে। রেজ্জাকের নির্দেশে দলীয় কর্মীরা বিরোধীদের উপরে আক্রমণ বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতা ও কর্মী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকালে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় তৃণমূলের হাজি ইসমাইলকে তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী জুলফিকর মোল্লার লোকজন গালিগালাজ করেছিল। হাতাহাতিও হয়েছিল ইসমাইল গোষ্ঠীর সঙ্গে। কিন্তু সকালের সেই ঝামেলা সেখানেই শেষ হয়নি। রাতে ইসমাইলের বাড়িতে যথেচ্ছ বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে জুলফিকরের লোকেদের বিরুদ্ধে। বোমার টুকরোয় ইসমাইলের স্ত্রী ও পুত্র গুরুতর আহত হন। তাঁরা নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। হাতিশালার ওই ঘটনায় সোমবার সকালে ইসমাইল ও মনি সাফুই নামে যুযুধান গোষ্ঠীর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই দু’জন পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে এসেছিল।

Advertisement

অন্য একটি ঘটনায় সোমবার ভোর থেকেই ভাঙড়ের বামনঘাটায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ জানায়, আরাবুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ প্রদীপ মণ্ডলের গোষ্ঠীর সঙ্গে রেজ্জাক-ঘনিষ্ঠ উদয় মণ্ডলের গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। এ দিন সকালে বামনঘাটায় নিজের মাছের আড়তে বসে ছিলেন উদয়। অভিযোগ, প্রদীপ গোষ্ঠীর কয়েক জন তৃণমূলকর্মী উদয়ের উপরে হামলা চালায়। পাল্টা হামলা চালায় উদয় গোষ্ঠী। পরে প্রদীপ গোষ্ঠীর মহিলার ঝাঁটা নিয়ে উদয় গোষ্ঠীর উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় তিন মহিলা-সহ অন্তত ন’জন জখম হয়েছেন। বামনঘাটার ঘটনায় উদয়কে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভাঙড়ের বিধায়ক রেজ্জাক বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িত তৃণমূলকর্মী ও নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement