সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিসি রায় শিশু হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে অ্যাডিনো এবং অন্যান্য ভাইরাসের দাপট কিছুটা কমেছে ঠিকই। কিন্তু যে-সব আক্রান্ত শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে, তাদের নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিসি রায় শিশু হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের এক জনের বয়স দেড় বছর এবং অন্য জনের ২৬ দিন।
টাস্ক ফোর্সের নির্ধারিত বৈঠক এ দিন হয়নি। তবে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ইন্ডিয়ান পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্যকর্তারা। বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ্য কমিশন। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “সরকারি হাসপাতালে কী ভাবে চিকিৎসা হচ্ছে বা হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি স্তরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু জানা যাচ্ছে না। তাই এই বৈঠক।” এ দিন চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ-র রাজ্য শাখার সঙ্গে বৈঠকের মূল লক্ষ্যই ছিল স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসা প্রোটোকল সম্পর্কে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করা চিকিৎসকদেরও অবহিত করানো।
বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২৩ মার্চের মধ্যে সকলকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে ফের এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে তার মোকাবিলা করার পরিকল্পনাও জানাতে হবে বিশদ ভাবে।” আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক, সাংসদ-চিকিৎসক শান্তনু সেন এবং আইপিএ-র রাজ্য সভাপতি তথা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক কল্পনা দত্তের উপস্থিতিতে এআরআই-আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ, মিহির দত্ত, মৃণালকান্তি দাস ও ভাস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।