গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করলেন ১১ জন নির্যাতিত। এঁদের মধ্যে পাঁচ জন মহিলা এবং ছ’জন পুরুষ। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীকে নিজেদের নির্যাতনের কথা জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন ওই ১১ জন। রাষ্ট্রপতি তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকি, দুঃখপ্রকাশও করেছেন।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির ‘নির্যাতিত’রা। তাঁদের নিয়ে গিয়েছিলেন সেন্টার ফর এসসি এসটি সাপোর্ট অ্যান্ড রিসার্চের ডিরেক্টর ড. পার্থ বিশ্বাস। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে পার্থ জানান, সন্দেশখালির বিষয়টি সরাসরি নির্যাতিতদের মুখ থেকেই যাতে রাষ্ট্রপতি জানতে পারেন, তাই সন্দেশখালির মহিলা এবং নির্যাতিত পুরুষদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে এসেছিলেন। রাষ্ট্রপতি তাঁদের কথা শুনেছেন। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দুঃখও প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে সহানুভূতি জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা নিয়ে কোনও আশ্বাস রাষ্ট্রপতি দিয়েছেন বলে জানাননি পার্থ।
উল্লেখ্য, এর আগেও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট গিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর কাছে। জাতীয় তফসিলি জাতি এবং জনজাতির কমিশনের পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং মহিলা কমিশনও চিঠি দিয়েছিল তাঁকে।
সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিলেন এলাকার মহিলারা। অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন শারীরিক নির্যাতনের। এর পরই শাহজাহান-সহ তাঁর শাগরেদদের গ্রেফতারির দাবি তুলে পথে নেমেছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। শুরু হয়েছিল আন্দোলন। যদিও শাসকশিবির সেই আন্দোলনের নেপথ্যে বিরোধীদের উস্কানি রয়েছে বলে দাবি করেছিল। এমনও বলেছিল, যা যা অভিযোগ উঠছে, তার অনেকটাই সত্যি নয়। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালির ঘটনার খবর পেয়ে দিল্লি থেকে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান এমনকি, তফসিলি জাতি এবং জনজাতির অধিকার রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় এসসি এসটি কমিশনও। তাঁরা সন্দেশখালির মানুষের সঙ্গে কথা বলে, এলাকা ঘুরে দেখে রিপোর্ট দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীকে।