জ্যোতিষশাস্ত্রে বিয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে
কথাতেই আছে, 'জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে।' অতএব, এই তিনটি বিষয়ে আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এ সবই পূর্ব নির্ধারিত। বিয়ে হিন্দু ধর্মের ১৬টি সংস্কারের মধ্যে একটি। তাই এই বিয়েকে যথেষ্ট মাহাত্ম্যপূর্ণ সংস্কার হিসাবে মানা হয়। এই সংস্কারের জন্য অনেক রীতি-রেওয়াজও পালন করা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যাঁকে ভালবাসেন, যার সঙ্গে আপনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, বিয়ে কি তার সঙ্গেই হবে? নাকি পরিবারের পছন্দ মতো কোনও সম্পর্ক এগোবে বিয়ের দিকে?
জ্যোতিষশাস্ত্রে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু এমন অনেকের সঙ্গেই ঘটে যে, পাত্র বা পাত্রী নিজের পছন্দ মতো হোক বা পরিবারের পছন্দ মত, বারবারই বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তা বিয়ের পূর্বেই, আবার কখনও বিয়ের মাস খানেক বা বছর খানেকের মধ্যেই। শাস্ত্র মতে, বিবাহিত জীবন কষ্টপূর্ণ বা বিবাহে বিলম্বের ক্ষেত্রে শনিদেবই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। শাস্ত্রজ্ঞদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সপ্তম-পতির স্থিতি বিবাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ষষ্ঠপতি যদি ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশ ভাবে থাকে তাহলে প্রায় বিবাহ জীবন কষ্টপূর্ণ হয়। কাদের বিবাহে বাধা আসতে পারে? এই সম্পর্কে ঠিক কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র, জানুন।
অনেক সময়ই দেখা যায় যে কোনও কারণ ছাড়াই বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে। আবার কখনও কখনও এরকমও হয় যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে আটকে যায়। বিয়েতে বিলম্ব বা বাধার পিছনে অনেকগুলি কারণ রয়েছে, যা দূর করার জন্য বাস্তুতে বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। বাস্তুশাস্ত্রের এই প্রতিকারগুলি দাম্পত্য জীবনে আসা অনেক ধরনের বাধা দূর করে দাম্পত্য জীবনকে সুখী করে।
১) কেউ যদি আপনার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, তা হলে তাঁকে এমন জায়গায় বসতে দিন যেখান থেকে বাড়ির মূল দরজাটি দেখা যায় না। অর্থাৎ ঘরের মুখ্য দরজার দিকে পিঠ করে বসাবেন।
২) যে খাটে আপনি ঘুমোন সেই খাটের নীচে লোহার কোনও জিনিস রাখবেন না। বাস্তুমতে, লোহার জিনিস বিয়েতে বাধা উৎপন্ন করে।
৩) অনেক সময়ই মঙ্গল দোষের কারণেও বিয়েতে সমস্যা হতে পারে। এই দোষ দূর করার জন্য ঘরের মূল দরজার রঙ গোলাপি বা হালকা লাল রঙের করাতে পারেন।
৪) আপনার ঘরে কোনো খালি পাত্র বা ট্যাঙ্ক রাখবেন না। যদি এটি ইতিমধ্যেই থাকে তবে অবিলম্বে এটি সরিয়ে ফেলুন। এ ছাড়া ঘর থেকে খুব ভারী জিনিস সরিয়ে ফেলুন।
এছাড়াও শীঘ্র বিয়ে হওয়ার আরও বেশ কয়েকটি অন্য উপায়:
১) সোমবার আড়াই কেজি ছোলার ডাল এবং দেড় লিটার কাঁচা গরুর দুধ দান করুন। এতে বিয়েতে বিলম্ব হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২) শনি দোষের কারণে যদি বিবাহ বিলম্বিত হয়, তবে শনিবার সর্ষের তেলে আপনার ছায়া দেখে দান করুন। এটা একটানা সাত শনিবার করতে হবে।
৩) যদি কোনও মেয়ের বিয়ে না হয়, তবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত কোনও কনেকে দিয়ে তাঁর হাতে মেহেন্দি লাগান। এটি শীঘ্র বিয়ের পথ প্রশস্ত করে।
৪) কোনও মেয়ের বিয়েতে বার বার বাধা এলে শিবলিঙ্গে কাঁচা দুধ অর্পণ করুন।
৫) বাড়ির বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়েদের কখনওই দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে শোওয়ার ঘর করতে নেই। এতে বিয়ে হতে অত্যন্ত দেরি হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।