bizarre

স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ও চাকরি ছাড়ার পর ৪৫ কেজি ওজন কমালেন তরুণী! মেয়েকে নিয়ে শুরু হল নতুন জীবন

স্বামী, কন্যা নিয়েএকটি সুন্দর বাড়িতে সংসার কাটাতেন এই তরুণী। কনির জীবন বাইরে থেকে নিখুঁত বলেই জানতেন আত্মীয়, বন্ধু ও পরিজনেরা। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ছিলেন তরুণী। বিবাহিত জীবনেও তৈরি হচ্ছিল সমস্যা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ০৯:৫০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

বিচ্ছেদও কখনও কখনও জীবনকে নতুন দিকে চালিত করে। তার জন্য নিতে হয় কঠিন সিদ্ধান্তও। ৩৮ বছর বয়সি কনি স্টোয়ার্সও সেই পথে হেঁটে দেখেছেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত কনির কাছে মোটা বেতনের চাকরি ছিল। স্বামী, কন্যা নিয়েএকটি সুন্দর বাড়িতে সংসার কাটাতেন এই তরুণী। কনির জীবন বাইরে থেকে নিখুঁত বলেই জানতেন আত্মীয়, বন্ধু ও পরিজনেরা। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ছিলেন আমেরিকার রোড আইল্যান্ডের বাসিন্দা এই তরুণী। বিবাহিত জীবনেও তৈরি হচ্ছিল সমস্যা এবং চাকরির বিষয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন কনি।

Advertisement

ফলাফল? অত্যধিক মদ্যপান এবং খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়তে থাকেন কনি। এর ফলে তাঁর ওজন ৩০০ পাউন্ড বা ১৩৬ কেজি হয়ে যায়। ডেলি মেলের সাথে কথা বলতে গিয়ে কনি বলেন, ‘‘চার বছর আগে আমার জীবন বাইরে থেকে ভালই মনে হত। আমার একটি মোটা মাসিক বেতনের চাকরি, স্বামী, মেয়ে এবং বাড়ি ছিল। কিন্তু আমি ভিতরে ভিতরে হতাশায় ভুগছিলাম।’’ কনি অনুভব করেছিলেন যে তিনি কেবল বেঁচেই আছেন। বেঁচে থাকার কোনও আনন্দ অনুভব করতে পারতেন না কনি।

২০২০ সালের কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় পরিস্থিতি আরও সঙ্গিন হয়ে যায়। সেই সময়ে খাবার এবং অ্যালকোহলে ডুবে থাকতেন তিনি। ওজন প্রায় ১০০ পাউন্ড (৪৫ কেজি) বেড়ে গিয়েছিল বলে জানান তরুণী। এক রাতে, কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে ক্লান্ত কনি সিদ্ধান্ত নেন এই বন্দিজীবন কাটাবেন না তিনি।

Advertisement

এর পর ব্যক্তিগত জীবনের এক কঠিন সিদ্ধান্ত নেন কনি। বিবাহবিচ্ছেদর পথে হাঁটেন তরুণী। তিনি জানান, নিজের ও তাঁর মেয়ের জন্য এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য হন তিনি। এর পর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন এবং নিজের রিয়্যাল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করেন। বন্ধ করে দেন মদ্যপানও। রোলার-স্কেটিং করা শুরু করেন। ১৩৫ কেজি ওজন থেকে ৪৫ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন কনি। তিনি বলেন ‘‘ওজন কমানো ছিল এই নতুন জীবনের একটি অংশ। স্কেটিং আমাকে শক্তি এবং একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে। আমি সকলকে বলতে চাই যে পরিবর্তন যে কোনও বয়সেই ঘটতে পারে। আটকে থাকার দরকার নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement