এই সাপটিই ছিল কমোডের ভিতরে। ছবি: ফেসবুক।
লম্বা ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে স্নানঘরে ঢুকেই আঁতকে উঠলেন এক মহিলা। কমোডের ভিতরে কুণ্ডলি পাকিয়ে রয়েছে হিলহিলে কালো একটা শরীর। দরজার শব্দ শুনে ধীরে ধীরে সেখান থেকে মাথা তুলছে সে। হৃৎপিণ্ড প্রায় হাতে চলে আসার অবস্থা হয়েছিল মিশেল লেসপ্রনের। কয়েক মুহূর্তের জন্য নড়াচড়ার ক্ষমতাটুকুও চলে গিয়েছিল তাঁর শরীর থেকে। সম্বিত ফেরে কিছু ক্ষণ পর।
ঘটনাটি ঘটেছে অ্যারিজোনার ফিনিক্সে। মিশেল কোনও মতে স্নানঘর থেকে বেরিয়ে সাহায্যের জন্য ফোন করেন। শেষে একটি বেসরকারি সাপুরে সংস্থা তাঁকে সাহায্য করে। তাঁরাই এসে মিশেলের স্নানঘরের ভিতর থেকে বের করে আনে সাপটিকে। তবে তার জন্য সময় লাগে দু’দিন। এই দু’দিনে তিন বার ওই বাড়িতে যেতে হয়েছে সাপুড়েদের। তারা জানিয়েছে, ওই সাপটি আদতে র্যাটল স্নেক। কালো রঙের এই ধরনের র্যাটল স্নেক মূলত অ্যারিজোনাতেই পাওয়া যায়।
স্নানঘরের চৌহদ্দির মধ্যে মাকরসা, আরশোলা জাতীয় প্রাণীদের দেখলেই আতঙ্কে হৃৎকম্প হয় অনেকের। র্যাটল স্নেক দেখতে পাওয়া নিঃসন্দেহে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। যাঁরা সাপটি ধরেছেন, তাঁরা জানিয়েছেন কালো এবং গোলাপি রঙের মিলমিশে অদ্ভুত রং সাপটির। সাধারণত অ্যারিজোনায় পাওয়া র্য়াটল স্নেক রং বদলায়। তবে এঁদের বিষ অন্য র্যাটল স্নেকদের থেকে কিছুটা কম। সাধারণত এই ধরনের সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় না। তবে প্রবল যন্ত্রণা, বমি ভাব, মাথা ঘোড়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।