সেই মেনু কার্ড। নিজস্ব চিত্র।
আমাদের কার্যত প্রতিক্ষণের সঙ্গী হয়ে উঠেছে নানা সমাজমাধ্যমে কথোপকথন বা চ্যাটিং। সেই চ্যাটিংয়ের ভঙ্গিকে বিয়ের মেনু কার্ডে তুলে আনল বোলপুরের পারুলডাঙার বাসিন্দা রায় পরিবার। বাড়ির মেয়ে শুভশ্রী রায়ের বিয়ের ভোজের এই মেনু কার্ডটি সমাজমাধ্যমে নজর কেড়েছে। যা আগামী দিনেও এমন ‘অভিনব’ কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বে থাকা ক্যাটারিং সংস্থার কর্ণধার।
২৭ নভেম্বর বোলপুরের পারুলডাঙা এলাকার বাসিন্দা শুভশ্রী রায়ের সঙ্গে কলকাতার বাসিন্দা সৌমজ্যোতি রায়ের বিয়ে হয়। সেখানে আইফোনের আদলে করা হয় মেনু কার্ডেটিতে নানা পদের খবর জানাতে চ্যাটিংয়ের ভঙ্গিকে ব্যবহার করা হয়েছে।
মেনু কার্ডে শুরুতেই লেখা হয়েছে, ‘শুভশ্রী ও সৌমজ্যোতির-র প্রীতিভোজে আপনাকে জানাই সাদর আমন্ত্রণ।’ তার পরে ‘ভাল করে খাবেন কিন্তু।’, বলে জানান হয়েছে। তার উত্তরে আমন্ত্রিত ব্যক্তি লিখছেন, ‘অবশ্যই।’ এর পরেই তার কৌতূহল, ‘আচ্ছা, মেনু কী কী করলেন!’’ এর পরেই মেনুর বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
মেনু দেখে আমন্ত্রিত ব্যক্তির মন্থব্য ‘বাহ, দারুন আয়োজন তো।’ এর পরে ফের কৌতূহলের সঙ্গে আমন্ত্রিত ব্যক্তি লিখছেন, ‘আচ্ছা ক্যাটারার কাকে করলেন!’’ এর পরে ক্যাটারারের পরিচয়ও দেওয়া হয়। মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ জানানোর আবেদন ও তার উত্তর ‘বিবাহিত জীবন সুখের হোক’ এই কামনা দিয়ে শেষ হয়েছে মেনু কার্ডটি।
শুভশ্রীর পরিবার সূত্রে খবর, বিয়ের দিন মেনু কার্ডটির প্রশংসা করেছেন আমন্ত্রিতেরা। এর পরে সমাজমাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে সেটি। মেনু কার্ডের এমন ভাবনার পিছনে থাকা ক্যাটারিং সংস্থার মালিক মনোজ রক্ষিত বলেন, “আগের থেকে এখনকার বিয়ের আয়োজনে বিস্তর ফারাক এসেছে। অনেকেই বিয়ের সাজ, খাওয়ার মেনু, মণ্ডপ, আলোয় অভিনবত্ব আনতে চাইছেন। সেখান থেকেই এমন ভাবনার সূত্রপাত। এই কাজটি করার পরে বহুজনের কাছে প্রশংসা পেয়েছি। আগামীতে আরও নিত্য নতুন ভাবনা রয়েছে আমাদের।”
মেয়ের জামাইবাবু অরূপ ভট্টাচার্য বলেন, “প্রথমে আমরা ব্যাপারটা ভাবতে পারিনি। গতানুগতিক বিয়ের মেনু কার্ডের ভাবনা আমাদের ছিল। কিন্তু ক্যাটারিং সংস্কার তরফে জানানো হয় একটু অভিনব করলে ক্ষতি কি! আমরাও ভেবে দেখলাম একটু অভিনব করলে তা মানুষের স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাই হয়েছে।”