bizarre

মৃত্যুর আগে ক্যাফের তরুণী কর্মীকে ৭ কোটির বাড়ি উপহার! বৃদ্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে পরিবার

নিঃসঙ্গ বৃদ্ধের জীবনে সঙ্গীর অভাব পূরণ করেছিলেন ৩৮ বছর বয়সি মারিয়া রোমানিশিন নামের তরুণী। তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও। মৃত্যুর দু’বছর আগে সাত কোটি টাকার একটি বাড়ি মারিয়াকে উপহার দেন জয় রিচার্ড নামের ওই বৃদ্ধ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৩৯
Share:
The family of an 82-year-old have won a legal battle to keep the home

ছবি: সংগৃহীত।

স্বজন, পরিবার বলতে কেউ ছিল না ৮২ বছরের বৃদ্ধের। মৃত্যুর কয়েক বছর আগে তাঁর সঙ্গে ইউক্রেনের একটি ক্যাফেতে আলাপ হয় খাবার পরিবেশনকারী তরুণীর সঙ্গে। নিঃসঙ্গ বৃদ্ধের জীবনে সঙ্গীর অভাব পূরণ করেছিলেন ৩৮ বছর বয়সি মারিয়া রোমানিশিন নামের তরুণী। তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও। মৃত্যুর দু’বছর আগে সাত কোটি টাকার একটি বাড়ি মারিয়াকে উপহার দেন ইউক্রেনের বাসিন্দা জয় রিচার্ড। তাঁর মৃত্যুর পর সেই বাড়ি ফেরত পাওয়ার জন্য মামলা করেন জয়ের পরিবার।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ডেলি মেল সূত্রে খবর, মৃত্যুর দুই বছর আগে ২০১৮ সালের মে মাসে লন্ডনের হ্যারোর বাড়িটি জয় তাঁর হাতে তুলে দেন বলে দাবি জানিয়েছেন মারিয়া। জয়ের সঙ্গে ২০১১ সালে আলাপ হয় মারিয়ার। তখন তিনি স্থানীয় একটি ক্যাফেতে খাবার পরিবেশনকারী হিসাবে কাজ করতেন। জয় সপ্তাহে তিন বার সেখানে যেতেন। জয় আজীবন অবিবাহিতই ছিলেন অবং তাঁর কোনও সন্তানও ছিল না। তিনি বেশির ভাগ সময় লাইব্রেরিতে কাটাতে পছন্দ করতেন এবং দুর্লভ মুদ্রা সংগ্রহের প্রতি ঝোঁক ছিল জয়ের। আদালতে মারিয়া জানান জয় তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে পরিবারের সদস্য বলে মনে করতেন। ২০১৬ সালে মৌখিক ভাবে বাড়ির মালিকানা মারিয়ার হাতে তুলে দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘বাড়িটি তোমার। আমি চাই তুমি বাড়িটি রাখো।’’

জয়ের এক তুতো ভাই ও জয়ের সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মার্টিন লার্নি তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা করে। আদালতের কাছে তাঁদের যুক্তি, মৃত জয় মানসিক ভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি কী করেছেন তা বুঝতে পারেননি। বিচারক সাইমন মন্টি কেসি সম্প্রতি রায় দিয়েছেন যে জয়ের সম্পত্তি ২০১১ সালের উইলের শর্ত অনুসারে ভাগ করা হবে। বাড়ির অধিকারের মামলায় হার হয়েছে মারিয়ার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement