(বাঁ দিকে) অক্ষতা মূর্তি এবং রতন টাটা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত হয়েছেন শিল্পপতি রতন টাটা। বয়সজনিত সমস্যা নিয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত বুধবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। রতন টাটার স্মৃতি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির কন্যা অক্ষতা মূর্তি। অক্ষতার পাশাপাশি তার প্রভাব পড়েছে নারায়ণ এবং তাঁর স্ত্রী এবং সাহিত্যিক সুধা মূর্তির জীবনেও। সেই স্মৃতিকথাই আলোচনা করলেন নারায়ণ।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নারায়ণ জানিয়েছেন, তাঁর কলজেপড়ুয়া কন্যা অক্ষতার সঙ্গে রতন এক সময়ে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলেন। তার প্রভাব শুধু অক্ষতার জীবনেই নয়, পড়েছিল সমগ্র মূর্তি পরিবারে। ১৯৯৯ সালের ঘটনা। নারায়ণ এবং সুধার কন্যা তখন ‘লিডারশিপ’ নিয়ে পড়াশোনা করছেন। পড়াশোনার সুবাদে রতনের সঙ্গে আলাপের সুযোগ পান অক্ষতা। ঘণ্টাখানেক রতনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তিনি। ‘লিডারশিপ’ নিয়ে কলেজে একটি ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ করতে হত অক্ষতাকে। সেই সংক্রান্ত নানাবিধ প্রশ্ন করেছিলেন রতনকে। কিন্তু রতন এবং অক্ষতার সেই প্রশ্নোত্তর পর্ব এক ঘণ্টায় থেমে থাকেনি। নারায়ণ জানান, টানা তিন ঘণ্টা ধরে তাঁর কন্যার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন রতন। নেতৃত্ববাদের ভূমিকা কী, কী ভাবে এর মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব এবং এর সাহায্যে কী ভাবে পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায়— তা ভাল ভাবে অক্ষতাকে বুঝিয়েছিলেন রতন। নারায়ণ বলেন, ‘‘রতন তাঁর জীবনদর্শন এবং জীবনপথে চলা কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে এমন কিছু কথা বলেছিলেন যে, তা অক্ষতার পাশাপাশি আমার এবং সুধার জীবনকেও সমৃদ্ধ করে তুলেছিল।’’