ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
পরনে স্কুল ইউনিফর্ম, পিঠে ভারী ব্যাগ। তা নিয়ে মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল এক কিশোর। মা-পুত্র ছাড়াও সেখানে ঘোরাফেরা করছিলেন আরও কয়েক জন। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সকলে তাড়াহুড়ো করে ভয় পেয়ে সেখান থেকে সরে যান। কারণ সেই জায়গায় হঠাৎ একটি বাঁদর লাফিয়ে চলে আসে। কিশোরের ব্যাগের পাশে জলের বোতল রাখা ছিল। বাঁদর লাফ দিয়ে এসে ব্যাগ থেকে সেই বোতলটি ‘ছিনতাই’য়ের চেষ্টা করে। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘হর্ষ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে যে, এক কিশোর তার মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। তার পরনে স্কুলের পোশাক এবং পিঠে ভারী ব্যাগ। ব্যাগের পাশে রাখা রয়েছে জলের বোতল। হঠাৎ সেখানে একটি বাঁদর লাফিয়ে এল।
কিশোরের ব্যাগ থেকে জলের বোতল টেনে বার করার চেষ্টা করতে লাগল সে। বাঁদরের এই কাণ্ড দেখে সেখানে ছুটে যান পুত্রের মা। তা দেখে বাঁদরটি কয়েক পা পিছিয়ে যায়। কিন্তু বাঁদরটিকে তাড়ানোর বদলে ওই মহিলা তাঁর পুত্রের ব্যাগ থেকে নিজেই জলের বোতলটি বার করেন। বোতলটি নিয়ে বাঁদরের দিকে এগিয়ে যান তিনি।
সেখানে একটি বেঞ্চে উঠে পড়ে বাঁদরটি। আদর করে বাঁদরটিকে বোতল থেকেই জল খাইয়ে দিলেন মহিলা। জল খেয়ে তৃষ্ণা মিটিয়ে সেখান থেকে আবার লাফ দিয়ে অন্য দিকে চলে গেল বাঁদরটি। এই ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে ভিডিয়োটি দেখে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকদের অধিকাংশ। এক জন লিখেছেন, ‘‘বাঁদরের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ওই মহিলা যে ভাবে জল খাওয়ালেন তা দেখেই মন ভাল হয়ে গেল।’’