ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
ব্যাঙ্কে ঋণ নিতে গিয়েছিলেন এক গ্রাহক। কিন্তু ‘সিবিল স্কোর’ কম থাকার কারণে তাঁকে ঋণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। কিন্তু তা শুনতে রাজি ছিলেন না ওই গ্রাহক। উল্টে তরুণী ম্যানেজারকে হুমকি দিতে শুরু করেন। ব্যাঙ্কের ভিতর চিৎকার করতে শুরু করেন ওই গ্রাহক। পুরো ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিয়ো করে রাখার চেষ্টা করছিলেন তরুণী। তা দেখে তরুণীর দিকে ছুটে যান গ্রাহক। তরুণীর হাত থেকে ফোন নিয়ে তা ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। এই ভিডিয়োটি পুলিশের নজর কাড়ে। অভিযুক্ত গ্রাহককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
‘ফার্স্টবিহারঝাড়খণ্ড’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় পোস্ট করা হয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার বিহারের পটনার একটি ব্যাঙ্কে ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণী ম্যানেজারের নাম বন্দনা বর্মা। অভিযুক্ত গ্রাহকের নাম রাকেশকুমার সিংহ। পেশায় কন্ট্রাক্টর তিনি। ব্যাঙ্কে ঋণ নিতে গিয়েছিলেন রাকেশ। কিন্তু তাঁর সিবিল স্কোর কম থাকার কারণে ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়, এমনটাই জানিয়েছিলেন বন্দনা। তখনই ব্যাঙ্কের ভিতর অশান্তি শুরু করেন রাকেশ। বন্দনা তাঁর আচরণ ক্যামেরাবন্দি করছিলেন বলে হাত থেকে ফোন নিয়ে ছুড়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ।
বন্দনাকে উদ্দেশ করে রাকেশ বলেন, ‘‘নিজেকে খুব চালাক ভাবেন, তাই না! আমার সিবিল স্কোর ঠিক করুন আগে। কখনও আমার মতো মানুষের পাল্লায় পড়েননি আপনি। যে কোনও জায়গায় গিয়ে আমার নামে খোঁজ নিয়ে আসুন। লোকজন কোনও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে গেলে আমার নামেই ঋণ নেন। আমার বাড়িতে সকলেই অফিসার। উপর থেকে নীচ পর্যন্ত চেনাজানা রয়েছে। সিবিল স্কোর ঠিক না করলে দেখবেন চেম্বারে ঢুকে আপনার সঙ্গে কী করি। আমার ভিডিয়ো রেকর্ড করবেন? আমায় অপমান করবেন?’’ এর পর বন্দনাকে নানা ভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন রাকেশ।
পরে স্থানীয় পুলিশের কাছে রাকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বন্দনা। ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণfত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে বিহার পুলিশ।