Bizarre

বেড়াতে গিয়ে খরচ করছেন না শাশুড়ি, ব্যবহার করছেন টুথপেস্টও! রাগে একাই বাড়ি ফিরে গেলেন তরুণ

শাশুড়ি হন বলে সব চুপচাপ মেনে নিচ্ছিলেন, এমনটাই দাবি করেন তরুণ। কিন্তু শাশুড়ির এক অদ্ভুত আচরণ দেখে খেপে যান তিনি। রেগেমেগে হোটেল ছে়ড়ে বেরিয়ে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ১৮:৪২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

স্ত্রীর বহু দিনের শখ ইটালির ভেনিসে ঘুরতে যাওয়ার। তাই স্ত্রীর শখপূরণ করতে সেখানে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ৩৮ বছরের তরুণ। স্ত্রীকে সেই কথা জানাতেই ঝটপট গোছগাছ করতে শুরু করে দেন তিনি। পাঁচ বছরের কন্যা এবং স্বামীকে নিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন, এমনকি কোন রেস্তরাঁয় খাবেন তাও ঠিক করে ফেলেন তরুণী। ঘুরতে যাওয়ার কথা নিজের মাকেও জানান তরুণী। তরুণীর মায়েরও সেখানে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা হওয়ায় চার জনের টিকিট কেটে ফেলেন তরুণী। তবে চার জনের জন্য হোটেলে একটি ঘরই বুক করেছিলেন। তার পর থেকেই শুরু হয় তরুণীর জীবনসঙ্গীর সমস্যা।

Advertisement

তরুণ রেডিটে পোস্ট করে তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, ‘‘আমার স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে হোটেলে একই ঘরে ছিলেন শাশুড়ি। তিনি শুধুমাত্র বিমানের টিকিটের দাম দিয়েছিলেন। তার পর আর খরচই করেননি। আমার স্ত্রী মেকআপের জন্য দামি সামগ্রী ব্যবহার করেন। স্ত্রীর কাছ থেকে নিয়ে সেগুলিও ব্যবহার করেছেন আমার শাশুড়ি। যখন তখন আমাদের বিছানায় বসে পড়ছিলেন। আমাদের অনুমতি না নিয়েই ব্যাগপত্র ঘাঁটছিলেন। আমি বেশি মেলামেশা করা পছন্দ করি না। ফলে আমার যথেষ্ট বিরক্ত লাগছিল।’’

শাশুড়ি হন বলে সব চুপচাপ মেনে নিচ্ছিলেন, এমনটাই দাবি করেন তরুণ। কিন্তু শাশুড়ির এক অদ্ভুত আচরণ দেখে খেপে যান তিনি। তরুণ লেখেন, ‘‘এক দিন নজরে পড়ে, আমাদের টুথপেস্টও ব্যবহার করছেন শাশুড়ি। তা দেখে আমার গা গুলিয়ে ওঠে। অসুস্থ বোধ করছিলাম আমি। শাশুড়িকে আমি অনুরোধের সুরেই জানাই যে, ওঁর এমন আচরণ আমার পছন্দ হচ্ছে না। উনি যেন আমাদের জিনিসে হাত না দেন।’’ অনুরোধ রাখার পরিবর্তে কন্যাকে গিয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে নালিশ করতে শুরু করেন তিনি। তার পর সকলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তরুণ জানান, শাশুড়ির প্রতি রেগে গিয়ে বিমানের টিকিট বুক করে একাই বাড়ি ফিরে যান তিনি। স্ত্রী বার বার ফোন করলেও তার উত্তর দেননি তিনি। ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে জানাতেই কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তরুণ। নেটব্যবহারকারীদের একাংশের দাবি, তিনি শাশুড়ির জন্য আলাদা ঘর বুক করতে পারতেন। আবার এক নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘আপনি আপনার স্ত্রী এবং কন্যাকে কষ্ট দিয়েছেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement