—প্রতীকী ছবি।
সুরাপানে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি রয়েছে বন্ধুর। হাজার বারণ সত্ত্বেও কারও কথা শোনেন না তরুণ। বাধ্য হয়ে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে তাঁর মা এবং স্ত্রীর কাছে বিষয়টি জানান তাঁর বন্ধু। ‘গোপন’ কথা বাড়িতে জানিয়ে দেওয়ার ফলে বন্ধুর উপর রেগে যান তরুণ। বাড়িতে শুরু হয় মদ খাওয়া নিয়ে অশান্তি। রাগে বন্ধুকেই হত্যা করার পরিকল্পনা এঁটে বসেন তিনি। অন্য এক ব্যক্তিকে নিয়ে বন্ধুর বাড়ি যান তরুণ। তার পর মাথায় রড দিয়ে মেরে তাঁকে খুন করেন বলে পুলিশের অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি পুণের হাদাপসার থানার অন্তর্গত রামোসি আলি এলাকায় ঘটে। মৃতের নাম অমল ওরফে মারুতি মানে (৩৯)। অভিযুক্তদের নাম যথাক্রমে বৈভব গণেশ লাবড়ে এবং ধ্যানেশ্বর দত্তু। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৈভব এবং অমল একই পাড়ার বাসিন্দা। অমল ক্যাটারিংয়ের কাজ করেন। বাড়িতে একা থাকেন তিনি। অন্য দিকে মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার বৈভবের। বৈভবের অতিরিক্ত মদ্যপানের কথা তাঁর বাড়িতে গিয়ে জানিয়েছিলেন অমল। তা শুনে বৈভবের বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। মা এবং স্ত্রী মিলে বৈভবের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লে রেগে যান বৈভব।
অমলের নালিশ করার জন্যই এত অশান্তি হচ্ছে বলে ভাবেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বৈভব তাঁর আর এক বন্ধু ধ্যানেশ্বরকে ডাকেন। অভিযোগ, দু’জনে মিলে অমলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেন অমলকে।
অমলের বোন বার বার দাদাকে ফোন করে না পাওয়ায় এক প্রতিবেশীকে তাঁর বাড়ি যাওয়ার অনুরোধ করেন। সেই প্রতিবেশী বাড়িতে ঢুকে দেখেন, বিছানার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় অমলের দেহ পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন তিনি। তদন্ত চালিয়ে বৈভব এবং ধ্যানেশ্বরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।