মুম্বইয়ের সেই দোসা আইসক্রিমের ছবি। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
দক্ষিণী খাবার দোসা খাওয়ার একটা নিয়ম আছে। চাল-ডালের মিশ্রনে তৈরি এই খাবারের সঙ্গে থাকে দু’রকমের অনুসঙ্গ। ভিতরে ভরা থাকে মশলা। সাধারণত মুচমুচে নোনতা স্বাদের দোসাকে ভিতরের হালকা ঝাল আলুর মশলা-সহ ছোট্ট টুকরোয় ছিঁড়ে তাকে ডুবিয়ে নিতে হয় হালকা ঝাল-মিষ্টি স্বাদের নারকেলের চাটনিতে। তার পর টক-ঝাল সাম্বারে ভিজিয়ে কামড় বসাতে হয় সেই টুকরোয়। দক্ষিণের মানুষ তো বটেই, গোটা বিশ্বের দোসা প্রেমীদের কাছে দোসা কেবল একটি খাবার নয়, তার বানানো সময় থেকে শুরু করে এই কামড়টি পর্যন্ত— একখানি অভিজ্ঞতা।
শুকনো তাওয়ায় অল্প জল আর তেলের ছিটে দিয়ে মুছে নেওয়া থেকে শুরু করে তাতে দোসার মিশ্রণ ছড়ানো, ভিতরে পুর ভরা সবই দোসা খাওয়ার অঙ্গ। সম্প্রতি দোসা নিয়ে সেই আবেগেই ধাক্কা লেগেছে খাদ্যপ্রেমীদের। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল একটি দোসার ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দোসাকে দোসা হিসাবে নয়, নিছক একটি আইসক্রিমের পাত্রের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। যা দেখে বেজায় চটেছেন খাদ্যরসিকেরা।
যে ভিডিয়োর জন্য এই বিস্তারিত দোসা প্রসঙ্গের অবতারণা, সেটি তোলা হয়েছে মুম্বইয়ের একটি রাস্তার ধারের দোসা বিক্রেতার অস্থায়ী দোকানে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দোসার প্যানে নিঁখুত ভাবে দোসার খাস্তা মুচমুচে বহিরাবরণটি বানাচ্ছেন দোকানদার। কিন্তু তাতে মাখনের পরত দেওয়ার পর আলুর পুরের বদলে তিনি ঢেলে দিচ্ছেন গাঢ় চকোলেট সস।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে চকোলেট সস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দোসার উপরে। তার উপর দোসার একটি প্রান্ত সামান্য কেটে তাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চোঙার আকৃতি দেওয়া হচ্ছে। শেষে ভিতরে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে ভ্যানিলা আইসক্রিম, চকোলেটের অজস্র টুকরো এবং চকোলেট সস।
মুচমুচে গরম দোসার মধ্যে বরফ ঠান্ডা আইসক্রিম এবং চকোলেটের পুর সুস্বাদু লাগার কথা। দোসাটি স্থানীয় খাদ্যপ্রেমীদের মধ্যে জনপ্রিয় বলেও দাবি করা হয়েছে ভিডিয়োতে। যদিও খাদ্যপ্রেমী নেটাগরিকরা ভিডিয়োটিকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন, ‘‘অতঃপর এই ভিডিয়ো দেখার পর দোসা আত্মঘাতী হল।’’ কেউবা লিখেছেন, ‘‘দিন দুপুরে এ ভাবেই দোসাকে সবার সামনে হত্যা করা হল।’’ তবে কেউ কেউ এমনও লিখেছেন যে, ‘‘ব্যাপারটা খেতে হয়তো মন্দ হবে না। কিন্তু একে দয়া করে দোসা বলবেন না। শুধু আইসক্রিম বলুন। সেটুকু মনে নেওয়া যেতে পারে।’’