২০২১ সালে ব্রাজিলের এই ভিডিয়োটি ঘিরে সরগরম সমাজমাধ্যম। ছবি টুইটার।
অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লুট করতে একটি দাঁতের চিকিৎসালয়ে ঢুকেছিলেন ২ যুবক। ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে, সেখানে রয়েছেন এক পুলিশকর্মী। ফলে পরিণতি হল মারাত্মক।
দাঁতের চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী। তাঁর পরনে অবশ্য উর্দি ছিল না। সেই সময় এক মহিলা চিকিৎসক ওই পুলিশকর্মীর দাঁতের পরীক্ষা করছিলেন। এমন সময়ই বাইরে থেকে আওয়াজ শোনা গেল। কী হয়েছে বুঝে ওঠার আগেই দরজা ঠেলে সেই ঘরে ঢুকলেন এক যুবক। তাঁর হাতে ধারালো অস্ত্র। অস্ত্রধারী যুবককে দেখে তখন স্বভাবতই ঘাবড়ে গিয়েছেন ওই চিকিৎসালয়ের কর্মীরা। দেখলেন, আরও এক যুবক অস্ত্র হাতে নিয়ে ঢুকে পড়েছেন।
এই কাণ্ড দেখে উঠে বসলেন ওই পুলিশকর্মী। ওই ২ যুবক ভেবেছিলেন, তিনি কোনও রোগী। তিনি যে পুলিশকর্মী, তা টেরই পাননি তাঁরা। এর পরই পুলিশকর্মীকে মেঝেয় শুয়ে পড়তে বলেন। এই সময়ই তাঁর পকেটে হাত দিয়ে তল্লাশি চালান যুবকরা। বন্দুক রয়েছে বুঝতে পেরে তা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। এই সময়ই প্রত্যাঘাত করেন ওই পুলিশকর্মী। এক যুবকের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিশকর্মী বলে কথা, চোরকে তো ধরা পড়তেই হবে। হলও তেমনটা।
এক যুবককে মেঝেয় ফেলে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করলেন ওই পুলিশকর্মী। পরে অন্য যুবককেও ধরে ফেললেন। আর এ ভাবেই দন্ত্য চিকিৎসালয়ে লুটের ঘটনা রুখলেন ওই পুলিশকর্মী। ঘটনাটি ২০২১ সালের। এই ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ব্রাজিলের।