—প্রতীকী ছবি।
আইপ্যাডের প্রতি মেয়েদের ঝোঁক কমাতে সেগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন মা। যথাস্থানে আইপ্যাড খুঁজে না পেয়ে পরিবারের এক সদস্য অভিযোগ করেন পুলিশে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়িতে তল্লাশি চালাতে আসে পুলিশ। গ্রেফতার করে ‘দোষী’কে। ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডের সারেতে। ৫০ বছর বয়সি আমান্ডা ব্রাউন তাঁর মেয়েদের আইপ্যাড কেড়ে নেওয়ার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। ডেলি মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২৬ মার্চ কোভামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, আইপ্যাড নিয়ে মেয়েদের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় আমান্ডা সেগুলি লুকিয়ে রেখে তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চলে গিয়েছিলন। ইতিমধ্যে আমান্ডার কোনও সঙ্গী বা আত্মীয় ফোন করে বসেন পুলিশকে। আইপ্যাডগুলো চুরি হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশকে জানানো হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রথমে আমান্ডার বাড়িতে এসে তদন্ত শুরু করে। ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেগুলি খুঁজে বার করে পুলিশ। পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত মোড় নেয় যখন পুলিশ আমান্ডার মায়ের বাড়িতে এসে যন্ত্রগুলি ট্র্যাক করে। শিক্ষিকা পুলিশকে জানান, তিনি তাঁর সন্তানদের কাছ থেকে কেবল আইপ্যাডগুলো নিয়েছিলেন এবং সারের কোভামে তাঁর মায়ের বাড়িতে রেখেছিলেন। মেয়েদের পড়াশোনা থেকে মন যাতে বিক্ষিপ্ত না হয়, সেই কারণেই এমনটা করেছিলেন তিনি। পুলিশ আমান্ডাকে আইপ্যাডগুলো ফেরত দিতে বলে। তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাই চুরির সন্দেহে পুলিশ আমান্ডাকে গ্রেফতার করে।
আমান্ডাকে স্টেইনসে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাত ঘণ্টা গরাদের পিছনে কাটাতে হয়েছিল বলে দাবি আমান্ডার। ইতিহাসের শিক্ষিকার অভিযোগ, পুলিশ প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি এবং অত্যন্ত অপেশাদার আচরণ করেছে তাঁর সঙ্গে। তাঁর মেয়েদের সঙ্গে কথা বলারও অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁকে। তল্লাশির সময় পুলিশ আধিকারিকেরা তাঁর বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গেও অত্যন্ত কঠোর আচরণ করেন বলে দাবি আমান্ডার। তিনি জানান, মায়ের সঙ্গে তাঁরা এমন আচরণ করা শুরু করেন যেন তাঁর ৮০ বছরের বৃদ্ধা মা এক জন অপরাধী। তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর, আমান্ডার আইনজীবীকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ পরে নিশ্চিত হয় আইপ্যাডগুলি আমান্ডার মেয়েদের এবং তাঁদের মা হিসাবে সেগুলি নিয়ে যাওয়ার পূর্ণ অধিকার তাঁর রয়েছে। এর পর মুক্তি পান আমান্ডা।