ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র ৫০ পয়সা ফেরত দেয়নি ডাকঘর। তার জন্য ২৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯০০ শতাংশ জরিমানা করল উপভোক্তা কমিশন। চেন্নাইয়ের একটি ডাকঘরকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলেছে জেলা উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ায় পর হইচই পড়ে গিয়েছে।
২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর গেরুগাম্বাক্কামের বাসিন্দা মনসা নামের এক ব্যক্তি একটি চিঠি পাঠাতে পলিচালুর ডাকঘরে গিয়েছিলেন। চিঠি পাঠানোর খরচ ছিল ২৯ টাকা ৫০ পয়সা। তিনি ডাকঘরে ৩০ টাকা জমা করেন। কিন্তু কর্মীরা তাঁকে ৫০ পয়সা ফেরত দেননি। তাঁকে বলা হয়েছিল, স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় পুরোপুরি ৩০ টাকাই বিলে ধার্য হয়েছে। তাই সেই টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না। মনসা ইউপিআই ব্যবহার করে সঠিক টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে জানিয়ে ডাকঘর তা প্রত্যাখ্যান করে।
উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাছে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ডাকঘরে দৈনিক লেনদেনগুলিতে এই ‘রাউন্ডিং’ ব্যবস্থা বন্ধ করা উচিত। এর ফলে বাড়তি অর্থের কোনও হিসাব থাকে না এবং এর ফলে সরকারে রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে। মামলা চলাকালীন মনসা বলেছিলেন যে ‘রাউন্ডিং অফ’-এর ফলে গ্রাহকের ক্ষতি হচ্ছে। অন্য দিকে, ডাকঘরের কর্তারা জানিয়েছিলেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ডিজিটাল পেমেন্ট বন্ধ ছিল। উভয় পক্ষের শুনানির পর কমিশন রায় দেয় যে পোস্ট অফিসের সফ্টঅয়্যার ত্রুটির কারণে যে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে তা অন্যায্য। ৫০ পয়সার পরিবর্তে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।